ঝালকাঠির রাজাপুর থানায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামী করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামিলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম ইলিয়াস বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রাজাপুর উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৮০জন সহ মোট ১০৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নং-৯মামলার বিবরন থেকে জানাগেছে,
গত ২৮ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে মামলার বাদি ও রাজাপুর উপজেলা আওয়ামিলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী শুক্তাগর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদারের বাড়ীতে শীত উপলক্ষে দাওয়াত খেয়ে রওয়ানা দিয়ে রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে
পিংড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় অতিক্রম করার সময় শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনসেট ভবনের সামনের বারান্দায় গোপন শলাপরামর্শ করতে দেখে বিষয়টি জানতে টর্চলাইট নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হলে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মী তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করা সহ ৬ থেকে ৭ টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় বাদী সহ ৩ জন স্বাক্ষী আহত হলে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাস্থল পিংড়ীর মানুষের কাছে খোঁজ নিলেই জানা যাবে এমন কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা। ঘটনা স্থলের মানুষ জানলোইনা অথচ আমাদের হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা হয়ে গেল।
মুলত অবৈধ সরকার পতনে বিএনপির দেশব্যাপী চলমান আন্দোলন সংগ্রামে আমরা রাজাপুর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের নেতৃত্বে মাঠে রয়েছি। আমাদের মাঝে ভীতি তৈরি করে আন্দোলনে বাধা প্রদানের জন্য এই গায়েবী মামলা করা হয়েছে।
সাধারন মানুষ বোঝে ৬/৭ টা বোমা মারলে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে যায় কিভাবে? কোনো চক্রান্তই আমাদের দমাতে পারবেনা। এই স্বৈরাচারী সরকার পতনের আগ পর্যন্ত আমরা ঘরে উঠবনা।এ বিষয়ে রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় জানান, এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয় নাই। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।