বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষিত জনপদ পটুয়াখালী বাউফলে রাজনীতির নামে প্রতিনিয়ত রক্তের হলিখেলা চলছে। আওয়ামী লীগ এখন আওয়ামী লীগ এরই শত্রু ও চরম প্রতিপক্ষ। বাউফলে এখন আওয়ামী লীগের নেতারা চতুর্ভুজ আকার ধারন করেছে। তিন ভাগ এক দিকে আ. স. ম ফিরোজ একাই এক দিকে। সামনের নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ নিজের দলের সিংহভাগ নেতা কর্মীরাই।

এই বিষয় টা মারাত্মক আকার ধারন করেছে বাউফল উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তি যোদ্ধা আব্দুল মোতালেব হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করার কারণে। সেই প্রতিবাদে পটুয়াখালী ২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাউফল উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি আ.স.ম ফিরোজ এমপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন বাউফল উপজেলা আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীরা।

উল্লেখ্য, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার এর গত নেতৃত্বে গত ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আ স ম ফিরোজ মিয়ার কর্মীরা আবদুল মোতালেব হাওলাদারের মিছিলের উপর দেশিয় অস্ত্রসহ আচমকা হামলা করে এতে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার সহ ৩০জন আহত হন।

আজ ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ইংরেজি – রোজ বুধবার বাউফল পাবলিক মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই এই সমাবেশের উদ্দেশ্য বাউফল থানার প্রতিটি ইউনিয়ন, গ্রাম ও মহল্লা থেকে শত শত নেতা কর্মী সমবেশে যোগদান করেন এবং সম্মেলন সফল করেন।

জেলা আওয়ামিলীগের উপদেষ্টা ও বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী নেতা জসীম উদ্দিন ফরাজী সমবেশের সভাপতিত্বত করেন এবং বাউফল যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন আকন করেন সঞ্চালনা। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আহত উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব হাওলাদার।

উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র যুব রত্ন নামে পরিচিত জিয়াউল হক জুয়েল। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আহবায়ক তালুকদার মোঃ জাহাঙ্গীর, এবিআর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা কর্মীবান্দব ( বীর উত্তম শামসুল আলম তালুকদারের সুযোগ্য সন্তান ) হাসীব আলম তালুকদার, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান হাওলাদার, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সদস্য এসএম ইউসুফ, নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মহসীন, বাউফল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম,কেশবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ লাভলু, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান, সহ স্থানীয় আ’লীগ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

হাজারো জনতার সম্মুখে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ. স.ম ফিরোজ এর দীর্ঘ দিনের অপকর্ম – কু-রাজনীতি ও বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে সংগঠন করার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জোড়ালো অনুরোধ জানান এবং আ.স. ম ফিরোজ শতভাগ ব্যর্থ সংসদ তার স্পষ্ট প্রমাণগুলো তুলে ধরেন নেতাকর্মীগন- বর্তমানে তিনি জনবিচ্ছিন্ন নেতা কারন ৭ বার নির্বাচিত হওয়া সত্যেও বাউফলে কোন উন্নয়ন মুল কাজ করেনি। বাউফলের রাস্তাঘাটগুলো মান্দাতার আমলের মতই রয়ে গেছে। বাউফল থানার নেতারা আরো বলেন,আ.স.ম ফিরোজ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বরিশাল টাউন হলে সামনে আনন্দ মিছিল বের করে মিষ্টি বিতরণ করেন এবং তাই নয় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রাস্তায় ফেলে পা দিয়ে পারিয়েছেন । তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে প্রতিনিয়ত হত্যা করিতেছেন। আমরা আজ থেকে আসম ফিরোজকে বাউফল থানায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।