লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে এক মা ও তার ছেলেকে আটক করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার সময় এ হস্তান্তর করা হয়। এরপর আটক মানবপাচারকারীকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বিজিবি রংপুর ব্যাটালিয়ন (৫১ বিজিবি)।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর থানার কানুর বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মমতা হালদার ও তার ছেলে হৃত্তিক হালদার গত ৪ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মানবপাচারকারীদের সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, পাচারকারী চক্রে পাঁচজন সদস্য জড়িত। এর ভিত্তিতে পাটগ্রাম উপজেলার পানবাড়ী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে শুক্রবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে দহগ্রামের পাবনাপাড়া এলাকা থেকে রিপন মিয়াকে আটক করে। তিনি দহগ্রাম ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের মো. রোহিদুলের ছেলে। মেইন পিলার ৮১২ থেকে প্রায় ১০০ গজ ভেতরে তাকে আটক করা হয়। রিপন অবৈধ অনুপ্রবেশে সহায়তার কথা স্বীকার করেছেন।
এ সময় পাচারচক্রের আরও চার সদস্য—মো. আজিজুল (২৫), নবিউল (৩০), হাপ্পি (২৮) ও বেল্লাল হোসেন (৩৫)-পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তারা সবাই দহগ্রাম ইউনিয়নের বঙ্গেরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে রংপুর (৫১ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আল দীন বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পুশইন রোধে কঠোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, আটক পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারী মা–ছেলেকে মালামালসহ থানায় মামলা দায়েরপূর্বক গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পলাতক চারজনের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।