নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি বাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ অক্টোরব ভোর সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের খামার পাড়া এলাকার খাঁ বাড়িতে। লাকড়ির চুলা থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর পর্যাক্রমে গোটা বাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক শাহ আলম ও মোকসেদাা বেগম বলেন, শুক্রবার দিন নতুন জামাই বাড়ি থেকে ৩০/৪০ জন মেহমান আসার কথা ছিল। তাই বিভিন্ন ধরনের পিঠা পায়েস বানিয়ে মাটির চুলার উপর লাকড়ি রেখে রাত দেড় টার দিকে সবাই ঘুমাতে যাই। মেয়ে শাহনাজ বেগম ও জামাই সাইফুল ইসলামকে আমাদের ঘরে রেখে আমরা অন্য ঘরে ঘুমাতে যাই। রাত সাড়ে তিন টার দিকে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখে মেয়ে ও জামাইকে ডাকাডাকি করি। ওরা অনেক কষ্টে জানালা দিয়ে বের হলেও আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
মেয়ের জামাই সাইফুল ইসলাম বলেন, কখন যে আগুন লাগল টেরই পেলাম না। আমার একটা এনরয়েড ফোন ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একেবারে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। কিছু মালামালও ছিল। তাও ছাই হয়ে গেছে।
মোকসেদা বেগম কান্নজড়িত কন্ঠে আরো বলেন, ছোবা বানানোর কারিগরদের বিল দেয়ার ৯০ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্ন ছিল খুঁজেই পেলাম না। আমার স্বপ্ন আমার সংসার চোখের সামনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেল। আমি কিছুই করতে পারলাম না। আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। টিবি, ফ্রিজ , খাট, সোফাসহ ১ লক্ষ টাকার ছোবা বানানোর একটি সুতার গাইড পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ২ ড্রাম চাউল, ৩ টা মোবাইল, ১৫ টি মুরগী ছিল, তাও পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। আসলে মালসামানা বাড়িঘর তো পুড়ে নাই পুড়েছে আমার কপাল, আমার সংসার। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
পার্শ্ববর্তী বাড়ীর আক্তার হোসেন ফকির, আনোয়ার হোসেন খাঁ, মফিজুল খাঁ বলেন, রাত সাড়ে ৩ টার দিকে চিল্লাচিল্লি শুনে এসে দেখি চুলার উপর রাখা লাকড়ি থেকে আগুন লেগে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ পুড়ে গ্যাস বেড়–চ্ছে আর আগুনের শিখা দাউ দাউ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আকতার হোসেন ফকির বলেন, মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাই মিলে আগুন নিবাতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে সব শেষ।
রূপগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস অফিসে যোগাযোগ করা হলে এব্যাপারে তারা কিছু জানেন না বলে জানান। কেউ তাদের অগ্নিকান্ডের বিষয়ে জানায়নি।