শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের বিএনপি মানুষের প্রত্যাশা পুরণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে, যুবদল নেতা আবু মাসুম বোয়ালখালীতে মাটি কাটায় ৫০হাজার টাকা জরিমানা সড়কে বেপরোয়া পরিবহন,পুলিশের দুই সদস্য আহত। গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া দিনে-দুপুরে ডাকাতি যুবককে হত্যা! গোপালগঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত আবুল কালাম আজাদ পূর্বাচল তিনশ ফিটে টংয়ের দোকানে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা# পুলিশের নেই নজরদারি: দৈনিক আলোকিত বরিশাল পত্রিকায় বরিশাল কেডিসির মাদক বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশ করে প্রশংসায় ভাসছেন সর্বমহলের এড.নুরুলের সমর্থনে কুরবান নগর ইউনিয়নে বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল ছাত্রলীগকে চাঁদা না দিলে বিয়ের অনুষ্ঠানও করতে দিতনা— সাবেক এমপি নাসিরুল ইসলাম ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট খেলা নিয়ে দু’দলের খেলোয়াড়দের সংঘর্ষে আহত ২

পটিয়াতে শত বছরের পুরোনো জগত চন্দ্র মহাজনের পান্থশালা

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
18.2kভিজিটর

প্রায় ১০০ বছর আগের কথা। গ্রামগঞ্জে তখন সড়ক যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। সংগত কারণে মানুষের যাতায়াত ছিল মূলত হেঁটে। বণিক-সওদাগরেরাও তাঁদের পণ্যসামগ্রী বজরা নৌকায় ভরে দূর-দূরান্তের হাটবাজারে নিয়ে যেতেন নদীপথে। সাপ্তাহিক হাটের বেচাকেনা শেষে তাঁরা আবার যাত্রা করতেন পরের গন্তব্যে।

এই সময়ে কারও রাত্রিযাপনের প্রয়োজন দেখা দিত। কিন্তু এখনকার মতো হোটেল মোটেল, রিসোর্ট কিংবা রেস্টহাউসের অস্তিত্ব তখন ছিল না। তাই পথচারীদের আশ্রয়স্থল ছিল জমিদারের পান্থশালা। এই ধরনের শতাব্দী প্রাচীন একটি পান্থশালার অস্তিত্ব কোনোমতে টিকে আছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভূষি ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া গ্রামে।

প্রয়াত জমিদার জগৎ মোহন মহাজন পান্থশালাটি নির্মাণ করেছিলেন এলাকার খানমোহনা খালের পাড়ে। খালের উল্টো দিকে ছিল কৃষ্ঠাখালী বাজার, যেটি সপ্তাহের প্রতি সোম ও শুক্রবার জমজমাট থাকত। পান্থশালা নির্মাণের সময় পাশে প্রায় চার একর আয়তনের বিশাল এক দিঘিও খনন করা হয় আশ্রয় নেওয়া লোকজনের সুপেয় আর ব্যবহারের পানির প্রয়োজনে।


এলাকার লোকজন বলছেন, এই খানমোহনা খাল ধরেই একসময় সওদাগরি নৌকা চলত। দূর-দূরান্তের লোকজনের যাতায়াতও ছিল এই খাল ধরে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পণ্যের পসরা নিয়ে কর্ণফুলী নদী হয়ে বোয়ালখালী খাল, চানখালী খাল, খানমোহনা খাল ধরে নিত্য চলাচল করতেন।

সময়ের বিবর্তনে এখন খানমোহনা খাল শুকিয়ে নালায় রূপ নিয়েছে। পাশের বাজারটিও আর বসে না। এখন মানুষ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে সহজেই চার কিলোমিটার দূর পটিয়া সদরে গিয়ে নিজেদের মনমতো বাজার-সদাই করছেন। সময়ের ব্যবধানে এখন পান্থশালার প্রয়োজনও ফুরিয়ে গেছে।

তাই ইট-সুরকির দোতলা টিনের চালের দালানঘরটি কোনোমতে টিকে আছে অনাদর-অবহেলায়। জমিদার জগৎ মোহন মহাজন পান্থশালাটি নির্মাণ করেন ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে। ব্রিটিশ আমল থেকেই দক্ষিণ চট্টগ্রাম এলাকার প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন তিনি। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সেই জগৎ মোহন মহাজনের পান্থশালায় বসে পানি পানসহ খাওয়া-দাওয়া করতেন। আবার পান্থশালার দোতলায় বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল।

কালের বিবর্তনে তাঁদের জমিদারি জায়গা-সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যায়। ১৯৪৬ সালে জগৎ মোহন মহাজন মারা যান তিন পুত্র ও দুই কন্যা রেখে। এক ছেলে সুনীল চন্দ্র চৌধুরী পটিয়া ডেঙ্গাপাড়া গ্রামেই থাকেন। এখানে জরাজীর্ণ একটি মাটির ঘরে মহাজনের পরিবারের বংশধরদের বসবাস। অন্য দুই ছেলে চট্টগ্রাম শহরে চলে গেছেন অনেক আগেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x