ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ইছাপাশা গ্রামে ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,সাবেক উপজেলা বিএনপির যুবদলের সহ-সভাপতি,জাতীয়তাবাদী পৌর কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমানকে( ৪৮) গভীর রাতে পরিকল্পিত ভাবে কুপিয়ে ও শিল পুতা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওবায়দুর রহমান মুন্সি ওই গ্রামের আব্দুল খালেক মুন্সির (ডক সাহেব) ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত দুইটার পরে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে ওবায়দুর রহমান মুন্সির সঙ্গে তার স্ত্রী, ছেলে নাইম ও পুত্রবধূর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার রাতে ওবায়দুর রহমান মুন্সির স্ত্রী শিল পু তা দিয়ে মাথায় আঘাত ও কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
আরো জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বাড়ি যাওয়ার সময় ইছাপাশা বাজারে এক দোকান থেকে ১৫০০০০০ টাকা নেওয়ার সময় একই গ্রামে কিছু লোক ঐ পার্কে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তিনি বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগ দেওয়ার পরিপেক্ষীতে আবারো হামলা ও তার বাজারে ব্যক্তিগত বিএনপি অফিস ভেঙ্গে ও গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ওবায়দুর আবারও লিখিত অভিযোগ থানাতে দেন।
নিহতের ভাই সিরাজুল হক বলেন, ওবায়দুরের সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ তার স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূর বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার রাতে তার স্ত্রী পাথরের শিল দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক নানা কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও পুত্রবধূ মাসকারা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম স্বীকার করেছেন নিজেই তার স্বামীকে পাথরের শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।