অহিদুজ্জামান একজন অফিস সহকারী হয়েও কিভাবে রেকর্ড কিপারের রুমে বসে কাজ করে এমন প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে বরিশাল বিআরটিএর এর পুরো অফিস জুড়ে।অফিসের কর্মকর্তা—কর্মচারী মনের মধ্যে।
বরিশাল বিআরটি এর অফিসের অফিস সহকারী ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েল এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বরিশাল বিআরটিএর সেবা নিতে আশা সাধারণ জনগণ।
ওয়াহিদুজ্জামানের ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ হল ওহিদুজ্জামান টাকা নিয়ে অহেতুক হয়রানি করে তার কাছে সেবা পাওয়া যাদের আইনি অধিকার তাদেরকে।এই বেপরোয়া বিআরটিএর অফিস সহকারী ওহিদুজ্জামানের লাগাম টানার মত কোন অফিসার বরিশাল বিআরটিতে নাই বলে ধারণা করেন সেবা নিতে আসা প্রার্থীরা।
এই ধারণার কারণ হলো যারা তার কাছে সেবা নিতে আসে তাদেরকে তিনি ধমক দিয়ে বলেন এই অফিসের কাউকে আমি গুনি না। আমাকে চাকুরি দিয়েছে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন।
আমার বাড়ি গৌরনদী আমি বরিশাল জেলার সন্তান তাই আমার কাউকে গোনার সময় নেই। অনেকের ধারণা বরিশাল নিজ জেলায় চাকুরি করেই অফিস সহকারী ওহিদুজ্জামান বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ।
বরিশাল বিআরটি থেকে ওহিদুজ্জামান এর অপসারণ হল এখন সেবা নিতে আসা প্রার্থীদের সময়ের দাবি । সেবা নিতে আসা প্রার্থীদের মধ্য হতে অনেকেই বলেন আমরা এই ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, লম্পট, চরিত্রহীন, বেয়াদবকে বরিশাল থেকে অপসারণ চাই।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, সিনিয়র অফিসারদের কমন না মানা অফিস সহকারী অহিদুজ্জামান জুয়েলকে বরিশাল হতে শরীয়তপুর বদলি কারলে সেই শরীয়তপুরে এক ইন্সপেক্টর এর সাথে বেয়াদবি করে বিভাগীয় মামলা খেয়ে আবার ঘুষখোর সাধারণ জনগণ হয়রানি কারি অফিস সহকারি ওহিদুজ্জামান বরিশাল বিআরটিতে চেপে বসেছে।
বরিশাল বিআরটিএর অফিস সূত্রে জানা যায়, বরিশাল বিআরটি এর অফিসের সিনিয়রদের অনেক নির্দেশনা মানেন না ওয়াহিদুজ্জামান। আরো জানা যায় টাকা ছাড়া তিনি নাকি কিছুই বোঝেন না টাকা নেওয়ার পরেও সাধারণ জনগণকে তিনি হয়রানি করে আসছে তার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি ৫ই আগস্ট এর পূর্বে কারণ তিনি আ’লীগের সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেনের থেকে চাকুরি পাওয়া তাই। সাবেক আ’লীগের মন্ত্রী আবুল হোসেন এর আত্মীয় পরিচয় দিয়েই এই ওহিদুজ্জামান বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বরিশাল বিআরটিএর অফিসের একজন দালাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিককে বলেন তাকে আমি ১৫০০ টাকা দিয়েছি একটি মালিকানা ট্রান্সফারের ব্যাপারে টাকা নেওয়ার পরে অহিদুজ্জামান আমাদেরকেও হয়রানি করে সাধারণ জনগণ তো দূরের কথা।
বরিশাল বিআরটি এর অফিস সহকারী ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েলের বিষয়ে জনাতে চাইলে মোটরযান পরিদর্শন সৌরভ বলেন তাকে রমযানের আগে রেকর্ড কিপার অফিস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তার বিরুদ্ধে অফিস প্রধান ব্যবস্থা নিতে পারে।তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে আমরা হেড অফিসে বিষয়টি জানাব তারা ব্যবস্থা নিবে।
অফিস সহকারী ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েলের অবৈধ ভাবে টাকা নিয়ে হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) খালিদ মাহমুদ বলেন আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।