ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বালুমহালের ইজারার টাকা নিয়ে জামায়াত কর্মী জুয়েল বিশ্বাস পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে ঘিরে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জামায়াত নেতারা।
শনিবার বিকেলে আব্দুস সামাদ খানের ক্যাবল অপারেটর অফিস রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ বিষয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জামায়াতের কর্মী জুয়েল বিশ্বাসকে টাকা দেওয়ার কথা বলে বিএনপি নেতা রাসেল আহমেদ ডেকে নেয় উপজেলার সামনে মা ফার্মেসীতে। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রাসেলের লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা চালায় জুয়েলের উপর। জুয়েলের কাছে কোনো ধরনের অস্ত্র ছিল না বলেও দাবি করা হয়।
পরবর্তীতে জুয়েলের আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করতে গেলে ধস্তাধস্তির সময় বিএনপি নেতা রাসেলের ভাই রবিন মোল্যা আহত হন। জামায়াত নেতাদের দাবি, ঘটনাস্থলে জামায়াতের কোনো লোকজন সংঘর্ষে অংশ নেয়নি। কিন্তু কিছু সংবাদমাধ্যম এই ঘটনাকে জামায়াত-বিএনপির রাজনৈতিক সংঘর্ষ হিসেবে উপস্থাপন করছে, যা পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জামায়াত নেতারা বলেন, “এই ঘটনা পুরোপুরি ব্যক্তিগত বিষয়, একে রাজনৈতিক রঙ দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।চ্
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা সৈয়দ নেয়ামুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক হা: মাও: সৈয়দ সাজ্জাদ আলী, জামায়াত কর্মী জুয়েল বিশ্বাস, পৌর কাউন্সিলর ও জামায়াত নেতা সামাদ খানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।