শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৮টার সময়ে কাজির হাট থানার আন্দামানিক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি পংকজ নাথের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত সুমন খানকে তার বাসভবন থেকে আটক করে হিজলা থানা পুলিশ। হিজলা থানার এ এস আই মারুফ সেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পাশ্ববর্তী কাউরিয়া বাজারে সেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার কার্যালয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় কাউরিয়া বন্দরের হোটেল ব্যবসায়ী রাসেল নামের এক ব্যক্তি সেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতার বিরুদ্ধে ৬ লক্ষ টাকার প্রতারণার লিখিত অভিযোগ করেন হিজলা থানায়।
তার দাবী তিনি সহ আরো ৬ জনের কাছ থেকে বিদেশে নেয়ার কথা বলে ৩৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আগামী ২৪ তারিখ এই সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিজেই সার্বিয়া চলে যাবেন বলে তারা জানতে পেরে এই অভিযোগ করেন।
কিন্তু হিজলা থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় না নিয়ে এক নেতার অফিসে নিয়ে যান এবং বাদিকেও সেখানে যেতে চাপ দেন।
সেচ্ছাসেবক দলের ওই নেতার অফিসে গেলে বাদী রাসেলকে দিয়েই এ এস আই মারুফ ১শত টাকার ১টি স্টাম্প এনে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর রেখে ১৯ এপ্রিল সেচ্ছাসেবক দলের ওই নেতার কার্যালয়ে বাদ মাগরিব বিষয়টি মিমাংসা করা হবে বলে জানিয়ে দেন।
আসামীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার দাবী করলে বাদীর উপর চড়াও হন এ এস আই মারুফ ও আসামী পক্ষের লোকজন, তার দাবী আমি যদি বিষয়টি না মেনে নিতাম তবে আমার উপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তাই বাধ্য হয়ে মেনে নিয়েছি।
এবিষয়ে হিজলা থানার এ এস আই মারুফ বলেন আসামি সুমন সেচ্ছাসেবক দল নেতার বন্ধু, তিনি রিকোয়েস্ট করেছেন যে বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা করে দিবেন, এবং উভয় পক্ষ রাজি হওয়াতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন বাদী যদি স্থানীয় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা চায় তবে আমাদের কিছু করার থাকেনা।
আসামীকে থানায় না নিয়ে নিদিষ্ট কোন রাজনৈতিক নেতার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কারো কাছে কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।