নওগাঁয় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ৭ বছর পার হলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। প্রকল্পের সুফল নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
প্রকল্পের অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। দীর্ঘ ৭ বছর পার হলেও শেষ হয়নি ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্পে নির্মাণ কাজ। ছবি: সময় সংবাদ
প্রকল্পের কাজ সরজমিনে দেখা যায়, বড় বড় ফাটল; সেই সঙ্গে একটি ঘরের মেঝে দেবে গেছে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় মেশিন ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হতে বসেছে। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারে প্রকল্পের স্থায়িত্ব নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ।
জানা যায়, শহরের বাসাবাড়ির ময়লা দিয়ে বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প হাতে নেয় নওগাঁ পৌরসভা। শহরের কুমাইগাড়ী এলাকায় শুরু হয় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নামে এই প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৪ কোটি টাকা। যেখানে বর্জ্য পরিশোধন হয়ে তৈরি হবে জৈব সার।
এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ দেখিয়ে ২০২৩ সালে টাকা তুলে নেয় নির্মাতা ঠিকাদার। কিন্তু প্রকল্প শুরুর আগেই নির্মাণ করা স্থাপনার বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে ধসে পড়েছে
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নামে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ নেয় ইথেন এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্জ্য শোধনাগার নামে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ২০২২ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা কিন্তু, দীর্ঘ ৭ বছরেরও এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। রয়েছে কাজের গুণগতমান নিয়েও প্রশ্ন।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রেজাউর রহমান টুকু বলেন, ‘শহরবাসী খুব আগ্রহ নিয়ে বর্জ্য শোধনাগারের অপেক্ষা করছে। কিন্তু গত ৭ বছরেও এর কাজ শেষ না হওয়া আর শুরুর আগেই ভেঙে পড়ে, যা প্রকল্পের কাজের মান খারাপ সে বিষয়টি ফুটে উঠেছে।’
ময়েজ খান নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, ‘এ কাজে খুব অনিয়ম করা হয়েছে। যে ঠিকাদার কাজ করেছেন, তিনি বিগত আওয়ামী আমলের প্রভাবশালী ঠিকাদার ছিলেন তাই যা ইচ্ছে তাই করেছেন।’
তবে প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে পৌর প্রশাসক নওগাঁ টি এম এ আব্দুল মমিন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যেহেতেু ঠিকাদার কাজ বুঝিয়ে দিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে, বিষয়টি অনুসন্ধান করা হবে।’
নওগাঁ পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ ময়রা আলাদা করা। কারণ প্রকল্পটি যখন নেয়া হয় বর্জ্য কীভাবে আলাদা করে শোধন হবে তা ছিল না। কাজের মান খারাপ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।