ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পল্লী বিদ্যুৎ লাইনম্যাণের অবহেলায় ঝড়ে গেল সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র।
পৌরসভাধীন ৪ নং ওয়ার্ড নওপাড়া গ্রামে মৃত লিটন খানের ছেলে তনয় খান (১২) বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার(৪ মে) দুপুর তিনটার দিকে পৌরসভা নওয়াপাড়া গ্রামে বাদশা তালুকদারে সেচ পাম্প বিদ্যুৎ’ তারে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, হিমায়েত তালুকদার এর পুকুরে প্রবেশীরা খেলার বন্ধুরা মিলে গোসল করতে থাকে এবং অপর পাশে বাদশা তালুকদারের পুকুরে সহপাঠীরা গোসল করায় তনয় খান বাইসাইকেল নিয়ে ঐ পুকুরে গেলে পাড় থেকে চার ফুট উচ্চতায় ঝুলে থাকা তারে বেঁধে গিয়ে তাৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয়।
সেচ পাম্পে মালিক বাদশা তালুকদার বলেন, ২৫ বছর ধরে এভাবেই চালাচ্ছি। মাস দুয়েক আগে ৫ হর্স মটর জ্বলে গেলে ৩ হর্স মটর কিনে পূনরায় সংযোগ দেয়।তখন বিদ্যুৎ অফিস তার পাল্টানোর কথা বলে নাই এবং অনুমান ৭০০ ফুটের দূরত্বে তিনটা চিকন বাশ টানানো ছিল স্বীকার করেন।ঝড়ে বাশ ভেঙ্গে গেলে আর বাঁশের খুটি লাগানো হয় নাই।
পল্লী বিদ্যুৎের আলফাডাঙ্গা অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আশিস কুমার রায় বলেন, ওই গ্রামের বাদশা তালুকদারের সেচ সংযোগ তারে জড়িয়ে শিশুটির মৃত্যু হয় শুনে ঘটনাস্হলে গিয়ে তার খুলে আনা হয়।২০০৭ সালের বিদ্যুৎ আইনে বাঁশ খুটি দিয়ে তার টানানো বিধান আছে।পরবর্তী তার টানানোর নতুন আইন হয়েছে কিন্তু পুরাতন তারের সংস্কারে কোন আইন আসেনি।
ওই সংযোগে কোন গাফলতি আছে কিনা প্রশ্ন করা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।কোন পক্ষের অভিযোগ না থাকায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।