ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় কৃষিজমি ও সরকারি নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে প্রকাশ্যে বাণিজ্য করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।
উপজেলার পরমেশ্বরদী, শেখর, রূপাপাত ও চতুল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি এবং কুমার নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে তা বিক্রি করছেন হাসামদিয়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন মোল্লা ও তার সহযোগীরা।
এমনকি অভিযোগ উঠেছে, মাটি বিক্রেতা হারুন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে জাহির করতে ভূয়া একটি নিউজ পোর্টালের পরিচয়পত্র ব্যবহার করছেন। এই ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে তিনি মূল ধারার সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী মাঠে আলেক শরীফের ফসলি জমি ও পুকুর থেকে রাত-দিন মাটি কেটে নিচ্ছেন হারুন ও তার সহযোগী রাসেল। রাতের আঁধারে চলা এই অবৈধ কার্যক্রমে এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় প্রভাব পড়ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে হারুন মোল্লা ও তার চক্র দিনের পর দিন ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে।
একজন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী নিজেকে সাংবাদিক সাজিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের হুমকি দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাংবাদিক মহলে।
এলাকাবাসী ও সাংবাদিক সমাজ অবিলম্বে হারুন মোল্লার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা রাসেল বলেন, “ইটভাটা ও ভরাটের কাজে মাটি বিক্রি করছি। তেলজুড়ী খাল থেকে মাটি কেটে বেকু ও ট্রলির চলার রাস্তা তৈরি করেছি।”
হারুন মোল্লার কাছে ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং বলেন, “আপনি আমাকে চিনেন না?”
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রাব্বানী সোহেল বলেন, “আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। ফসলি জমির মাটি কোনোভাবেই কাটা যাবে না। মাটি বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।”