শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের এডাব এর আয়োজনে সরকারি ও এনজিও কার্যক্রম সমন্বয় জোড়দারকরণ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বম্ভরপুরে “বিশ্ব পানি দিবস-২০২৫ উদযাপন” বিএনপি মানুষের প্রত্যাশা পুরণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে, যুবদল নেতা আবু মাসুম বোয়ালখালীতে মাটি কাটায় ৫০হাজার টাকা জরিমানা সড়কে বেপরোয়া পরিবহন,পুলিশের দুই সদস্য আহত। গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া দিনে-দুপুরে ডাকাতি যুবককে হত্যা! গোপালগঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত আবুল কালাম আজাদ পূর্বাচল তিনশ ফিটে টংয়ের দোকানে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা# পুলিশের নেই নজরদারি: দৈনিক আলোকিত বরিশাল পত্রিকায় বরিশাল কেডিসির মাদক বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশ করে প্রশংসায় ভাসছেন সর্বমহলের এড.নুরুলের সমর্থনে কুরবান নগর ইউনিয়নে বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

আহলান সাহলান রমজানুল মুবারক!

লুৎফর সিকদার- গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
17.2kভিজিটর

পবিত্র মাহে রমাদানের চাঁদ দেখা গিয়াছে, বাংলাদেশে ১ মার্চ- ২০২৫ইং, রোজ: শনিবার প্রথম তারাবির নামাজ ও রবিবার ১ম রোজা।

মাহে রমজান আল্লাহতায়ালা কর্তৃক প্রদত্ত বরকতময় ও নেয়ামতপূর্ণ মাস, যার সঙ্গে অন্য কোনো মাসেরই তুলনা চলে না। হিজরি চান্দ্রবর্ষের নবম মাসের আরবি নাম রমাদান। ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলা উচ্চারণে এটি হয় রমজান। রমাদান বা রমজান শব্দের অর্থ হলো প্রচণ্ড গরম, সূর্যের খরতাপে পাথর উত্তপ্ত হওয়া, সূর্য তাপে উত্তপ্ত বালু বা মরুভূমি, মাটির তাপে পায়ে ফোসকা পড়ে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, ঝলসে যাওয়া, কাবাব বানানো, ঘাম ঝরানো, চর্বি গলানো, জ্বর, তাপ ইত্যাদি।

রমজানে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় রোজাদারের পেটে আগুন জ্বলে; পাপতাপ পুড়ে ছাই হয়ে রোজাদার নিষ্পাপ হয়ে যায়; তাই এ মাসের নাম রমজান। (লিসানুল আরব)।
রসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা রমজানের জন্য শাবানের চাঁদের হিসাব রাখো। ’ (মুসলিম)।

নবী করিম (সা.) এভাবে রমজানকে স্বাগত জানাতেন: ‘হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমজান আমাদের নসিব করুন। ’ (বুখারি)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো (ঈদ করো)। ’ (বুখারি ও মুসলিম)।
তাই চাঁদ দেখা সুন্নত; এটি ইবাদতের প্রতি অনুরাগ ও ভালোবাসার প্রতীক।
রমজানের মর্যাদা : এ মাসে রোজা রাখা আমাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে। রোজা শুধু উম্মতে মুহাম্মদির ওপর ফরজ হয়েছে তা না, অন্যান্য নবীর উম্মতের ওপরও তা ফরজ ছিল। রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, সংযম-পরহেজগারির মাধ্যমে বান্দার তাকওয়া অর্জন। কোরআনে কারিমের ঘোষণা, ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পারো।

’ (সুরা বাকারা-১৮৩)
রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। কোরআন যেমন মহামূল্যবান, রমজানও তেমনি মহামর্যাদার অধিকারী। আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালার ইরশাদ, ‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। ’ (সুরা বাকারা-১৮৫)

এ মাসটিতে এমন এক রাত রয়েছে, যে রাতে ইবাদত করা হাজার মাস ইবাদত করার চেয়েও বেশি উত্তম। রমজান অত্যন্ত বরকতপূর্ণ মাস। এ মাসে রহমতের অঝোরে বৃষ্টি নেমে আসে। জাহান্নাম তালাবদ্ধ হয়। শয়তান আটকে পড়ে। প্রিয় নবীজি ইরশাদ করেন,‘রমজান মাস এলে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। শয়তানকে জিঞ্জিরাবদ্ধ করা হয়। ’ (বুখারি, ১৮৯৯)

রোজা শুধু সর্বশেষ উম্মতের ওপর ফরজ করা হয়নি। অন্য ধর্মের অনুসারীদের ওপরও রোজা পালন করার বিধান ছিল। পৃথিবীর প্রথম নবী আদম (আ.) রোজা পালন করতেন। নুহ (আ.)-এর সময় প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখার বিধান চালু ছিল। দাউদ (আ.) তাঁর শিশুপুত্রের অসুস্থতার সময় সাত দিন রোজা পালন করেন। মুসা (আ.) এবং ঈসা (আ.) ৪০ দিন করে রোজা রেখেছেন। আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.) রোজা ফরজ হওয়ার আগে মহররমের নবম ও দশম তারিখ রোজা রাখতেন। হিজরি দ্বিতীয় সালে রমজানের রোজা ফরজ হিসেবে ঘোষিত হয়। তাহলে সহজেই অনুধাবন করা যায়, মাহে রমজানের রোজা পালন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই কেউ কোনো কারণ ছাড়া রোজা না রাখলে সে ‘ফাসিক’ বলে গণ্য হবে। আর রোজা অস্বীকার করলে সে কাফির হিসেবে বিবেচিত হবে।

রোজাদারের রোজা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই হয়ে থাকে। রোজা লৌকিকতা বিবর্জিত এক আমল। যে আমল রিয়া বা লোকদেখানো থেকে মুক্ত। এজন্য রোজার পুরস্কারও বিরাট। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় রমজানের রোজা রাখে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি, ১৮০২) রোজার ইখলাসে বদৌলতে আল্লাহর কাছে (দীর্ঘ সময় পানাহার না করার কারণে সৃষ্ট) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ মেশকের চেয়েও বেশি প্রিয়। রোজা এমন একটা মহান আমল, যার পুরস্কার আল্লাহ নিজ হাতেই দেবেন।

রমজানে অসৎ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেন। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে নেওয়া হোক কার্যকর পদক্ষেপ। যানজট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। তাই আমাদের রোজা শুধুই যেন উপবাসের শামিল না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আসুন, রোজার মাসকে স্বাগত জানাই। বলি, ‘সুস্বাগত, হে মাহে রমজান!’

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x