নিখোঁজের ২দিন পর গোপালগঞ্জে ট্রাংকে লুকিয়ে রাখা মুহিন মোল্যা (১১) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া ঝালমুড়ি বিক্রেতা আমিন সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ভাড়াটিয়া ঝালমুড়ি বিক্রেতা আমিনের ঘর থেকে ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখা মুহিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নিহত স্কুলছাত্র মুহিন মোল্যা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মাঞ্জুরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে এবং রাবেয়া আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র।
ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাড়ির পাশের দোকানে জুস কিনতে যায় মুহিন। এরপর থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। গত রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাড়াটিয়া আমিন, ওই গ্রামের শাওন ও সিহাবকে আটক করে।পরে আটকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সোমবার ভোররাতে আমিনের ঘর থেকে বস্তায় বেঁধে ট্রাঙ্কে রাখা মুহিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় আমিন মিয়ার স্ত্রী শাহানারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে এই শিশুকে হত্যার পর মরদেহ ট্রাংকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে কেন হত্যা করা হয়েছে তা সম্ভব হয়নি।এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, শিশু মুহিন মোল্যার বাবা মাঞ্জুরুল ইসলাম মেল্যার সাথে শাওন ও সিহাবের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এরই জেরে ঝালমুড়ি বিক্রেতা আমিনকে দিয়ে এই অপকর্ম করিয়েছে।