অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বিদ্যালয়ের গাছ ৮ লক্ষ টাকায় এবং পুরাতন ভবন গোপনে বিক্রি করেছেন। বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকলেও সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, ফলে অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত স্কুলে আসে না। জেলা পরিষদ থেকে বেঞ্চ তৈরির জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও নতুন বেঞ্চ না বানিয়ে পুরাতন বেঞ্চে ‘জেলা পরিষদ’ লেখা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভাঙা থাকায় বহিরাগতদের দ্বারা শিক্ষার্থীরা প্রায়ই হয়রানির শিকার হয়।
বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য কোনো সরঞ্জাম নেই। অথচ সায়েন্স ল্যাবের জন্য ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে বলে অভিযোগে বলা হয়। সহশিক্ষা কার্যক্রম, বার্ষিক শিক্ষা সফর, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রায় অনুপস্থিত। এমনকি পহেলা বৈশাখ উদযাপনেও তিনি প্রশাসনের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও উৎসাহ দেখাননি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে রূঢ় ভাষায় কথা বলেন এবং মাঝে মাঝে অ্যাসেম্বলিতে দাঁড় করিয়ে শারীরিকভাবে শাস্তিও প্রদান করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন।
এর আগে, বুধবার (২৩ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে বিদ্যালয়ের সামনে বোয়ালমারী-মোহাম্মদপুর সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রাব্বানী সোহেল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ক্লাসে ফিরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান অরুণ বলেন, "আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আনীত সব অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অপরাধীর খোজে প্রতিদিন, যেকোন খবর প্রকাশের জন্য মেইল করুন- wsbnews24@gmail.com
Copyright © 2025 wsbnews24.com. All rights reserved.