বরিশালে বালুমহল ইজারা টেন্ডার নিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার তৃণমূল-বিএনপি নেতৃবৃন্দরা, চাঁদপুরের মতলব থানার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আব্দুল মতিন কাজীর এবং মামলায় সাক্ষী ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা বাসেদ।
এই বাসেদের সাথে হিজলা মেঘনার বালু মহল নিয়ে ফরিদা এবং ফরিদার স্বামী ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কামরুলের দীর্ঘদিন যাবত ঝামেলা চলছিল ফরিদা এবং তার স্বামী কামরুল, রুবেল এর লাইসেন্সে মেঘনা বালু মহল ইজারা নেন ইজারা নেওয়ার পরে বাসেত এবং পঙ্কজ দেবনাথ মিলে ফরিদা ফরিদার স্বামী কামরুল এবং রুবেল কে ইজারা থেকে সরে যেতে বলে , মৃত্যুর হুমকি দেয় এবং কামরুলের ড্রেজার ছিনিয়ে নিয়ে যায় এর প্রেক্ষিতে কামরুল, ফরিদা, রুবেল, জাহিদ, একপর্যায়ে বাদী হয়ে আওয়ামীলীগের৷
মনোনীত মেহেন্দিগঞ্জ ৪ আসনের এমপি পঙ্কজ দেবনাথ এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দয়েল করেন। অনেকদিন যাবত এই বালুমহল হাইকোর্ট থেকে স্ট্রে জরি অবস্থায় থাকে। কিছুদিন পূর্বে রুবেল, ফরিদা, ফরিদার স্বামী ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি কামরুল ইজারা রেজিস্ট্রি ক্লোজ করেন পরে পুনরায় ইজারা দরপত্র আহ্বান করেন ডিসি অফিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই বালু মহল ঠিকাদার বিন্দুরা সবাই মিলে মিশে মেঘনা নদীর ইজারা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন এজন্য সবাই একসাথে হোটেল রিসমাডে বসেন, গত ২৪শে মার্চ দুপুরে ডিসি অফিসে কার্যালয়ে বালু মহলের ইজারা টেন্ডার ড্রপ করতে যায় চাঁদপুর মতলব থানা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আব্দুল মতিন কাজী সাথে তার সেনা সদস্য ভাতিজাকে নিয়ে ডিসি অফিসে গেলে,
স্থানীয় বিএনপি কনট্রাক্টার ও নেতৃবৃন্দদের সাথে কথায় কাটাকাটি ও বাকবিতন্ড হয়, সেনা সদস্য জাফরের সাথে হোটেল রিচ-মাঠ বসে ব্যাপারটি মিটমাট হয়ে গেলে যার যার মতন চলে গেলে বরিশাল বিএনপি'র কতিপয় কিছু নেতা,
মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সহ বিএনপির আরও কিছু নেতৃবৃন্দরা, ওই সেনা সদস্যের মাধ্যমে বিএনপি নেতা দেওয়ান মনির হোসেন, নুর সুজন, ইমরান খন্দকারকে রিচ-মাঠ হোটেল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করে , এবং অদ্য ২৫ শে মার্চ দুপুরে ভুয়া ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে, এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় দেখা দিয়েছে, এখনো স্বৈরাচারদের বিভিন্নভাবে টেন্ডার দেওয়া হচ্ছে প্রতিবাদ করলে তৃণমূল বিএনপি'র বিরুদ্ধে হামলা মামলা সহ বিভিন্ন দমন পিড়ন এখনো চলছ।
সেনাবাহিনী তাদেরকে এক পর্যায়ে ছেড়ে দেওয়া সক্ষম হলেও বিএনপি নেতাদের তদবিরে তাদের নামে মামলা দিতে বাধ্য হয় এমনটাই জানানো হয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে, ভুক্তভোগীরা আরো বলেন হিজলা মুলাদী মেহেন্দিগঞ্জ সহ বরিশালের সরকারি যত কাজকর্ম আছে এখনো আওয়ামী লীগের লোকেরা টেন্ডার ড্রপ করে নির্দ্বিধায় কাজ নিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে প্রশাসন সহযোগিতা করছে এবং বিএনপির কিছু মহল তাদেরকে সহযোগিতা করে তাদের কাছ থেকে কমিশন খাচ্ছে, আর ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে তৃণমূলের নিষ্পেষিত নির্যাতিত নেতারা,
দলিও হাই-কমান্ডোদের কাছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আবেদন স্বৈরাচার বিদায় হয়নি এখনো তাদের কার্যক্রম এখনো চলমান আছে। বরিশাল জেলা ছাত্রদল নেতা ওয়াশিম খান বলেন- এভাবে চলতে থাকলে বরিশালে বিএনপি কোণ ঠাসা হয়ে পড়বে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়া হোক এবং দোষীদের কে গ্রেফতার করা হোক এটাই চাচ্ছে তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা।
অপরাধীর খোজে প্রতিদিন, যেকোন খবর প্রকাশের জন্য মেইল করুন- wsbnews24@gmail.com
Copyright © 2025 wsbnews24.com. All rights reserved.