লোকজ ঐতিহ্যের ধারাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শীতকালিন বিভিন্ন পিঠা-পুলি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দিনব্যাপী উপজেলার বাখরের কান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। নেচে-গেয়ে, হই-হল্লা করে সকলে উৎসবটি উৎযাপন করে।
উৎসবে ছিলো-জামাই পিঠা, কদম ফুল পিঠা, পাকন পিঠা, রোল পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের রসের পিঠা, ক্ষীর কুলি,গোলাপ ফুল পিঠা, রস পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, সেমাই পিঠা, ঝিনুক পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, তেজপাতা পিঠা, তেলের পিঠা, ফুলকুচি পিঠা, ছেই পিঠা, গাজরের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ছিট পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, সেমাই পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি, দুধরাজ, ফুলঝুরি পিঠাসহ আরও বাহারি সব নামের পিঠা।
শিশু শিক্ষার্থীরা বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরে দেখছেন স্টল গুলো। জানছেন নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে। পুরো স্কুল মাঠ রূপ নিয়েছে অনিন্দ্য মিলনমেলায়। জানা-অজানা পিঠার সম্পর্কে জানতে পেরে এবং স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।
রহিমা বেগম নামের এক অবিভাবক বলেন, পিঠা উৎসব এখন আনুষ্ঠানিকতায় পরিনত হয়েছে। এই উৎসবের কারণে গ্রামের সেই পিঠাপুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি। এখানে এসে বেশ ভালো লাগছে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মৃদুলা আক্তার জানায়, বাহারি রকমের এতো পিঠা একসঙ্গে এরআগে কখনো দেখা হয়নি। আজ স্কুলে পিঠা উৎসব। সহপাঠীদের সঙ্গে পিঠা খাচ্ছি। অনেকে সিনিয়র ও জুনিয়র আপু ভাইয়ারা পিঠা বিক্রি করছে এতে খুব আনন্দ হচ্ছে।
বাখরের কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পিঠা-পুলি হলো আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই প্রকাশ। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে স্মরণ করতেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে এ উৎসবের আয়োজন করেছেন। বেশ ভালো লাগছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিবচর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক আবুল খায়ের খান, তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর কাজী,প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল হাসান(রকি), সহকারী প্রধান শিক্ষক দুর্বল চন্দ্র পাল, মানবাধিকার সংস্থা আসফ মাদবরের চর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা লোকমান হোসেনসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক- কর্মচারী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।