চট্টগ্রামের পটিয়ায় বোনের বাসা থেকে তাজমিন আকতার (১৪) নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকার মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদর পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাজমিনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত তাজমিন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের সোনা আলীর মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন এবং ১৫ দিন আগে বড় বোন হামিদা বেগমের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন।
তাজমিনের বড় বোন হামিদা বেগম জানান, তার ছোট বোন কয়েকদিন আগে হাইদগাঁও গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে পরিচিত হন এবং দুই দিন আগে তার সঙ্গে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন দুপুরেও বাসা থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ পর ফিরে আসেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে দেখা যায়, তিনি গলায় ফাঁস দিয়েছেন। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রিয়া মিত্র জানান, কিশোরীর গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া গেছে, এবং হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ আসাদ জানান, মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে