মাদারীপুর জেলার শিবচরে হাট-বাজার ইজারায় দুই হাটের ইজারা নেয়ার নেপথ্যে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি দুই আওয়ামীলীগ নেতার নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উপজেলার কুবুতপুর হাট ইজারা নিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো.সামাদ মাদবর ওরফে সামু। অন্যদিকে শিরুয়াইল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী উৎরাইল হাটের ইজারা নিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান মুরাদ হাওলাদার। তবে তিনি তার স্ত্রীর নামে হাটের ইজারা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার(৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টেন্ডার সম্পন্ন শেষে নাম ঘোষণা করলে উৎরাইল ও কুতুবপুর হাটের ক্ষেত্রে এই চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, শিবচর উপজেলা যু্বলীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামীলীগ নেতা ও ছাত্রহত্যা মামলার আসামি আতিকুর রহমান মুরাদ হাওলাদার তার স্ত্রী কবিতা হাওলাদারের নামে উৎরাইল হাটের ইজারা নিয়েছেন এবং কুতুবপুর হাটের ইজারা নিয়েছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো.সামাদ মাদবর ওরফে সামু। হাটের ইজারায় অংশ নিয়ে জিতে নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এদিকে প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার রাতে বিক্ষোভ করেছেন শিরুয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে ইজারা বাতিল করে হত্যা মামলার আসামি আলীগ নেতাদের বাদ দিয়ে পুনরায় ইজারার আহব্বান জানান। পরে শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর চৌধুরীর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এ সময় ইজারা বাতিলের জোর দাবি সহ আসামিদের গ্রেফতারে পদক্ষেপ নিতে দাবি জানান।
জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর চৌধুরী বলেন,’হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে আসছেন। নিজের পরিবারের সদস্যদের নামে হাটের ইজারা নিয়েছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় ফ্যাসিস্টরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা দুঃখজনক! আমরা হাটের ইজারা বাতিল এবং দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
কুতু্পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আ.সামাদ মাদবর বলেন,’আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।’
অন্যদিকে আওয়ামীলীগ নেতা ও শিরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুরাদ হাওলাদার বলেন,’আমি কোন হাটের ইজারা নেইনি। আমার নাম কোথাও নাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) পারভীন খানম বলেন,’হত্যা মামলার আসামিরা যদি হাটের ইজারা পেয়ে থাকেন। আর সঠিক প্রমান থাকলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।