রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের গঙ্গাচড়ার চৌধুরীহাট এলাকায় গড়ে ওঠা ‘বায়ো এগ লিমিটেড’ নামের একটি পোল্ট্রি খামারের বর্জ্যে ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। সাবেক আওয়ামী লীগ মন্ত্রী রমেশ সেনের প্রভাব খাটিয়ে নিয়মনীতি উপেক্ষা করেই আবাসিক এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে এ খামারটি। দুর্গন্ধ এবং বিষাক্ত বর্জ্য পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রংপুরের গঙ্গাচড়ার চৌধুরীহাট এলাকায় তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয় বায়ো এগ লিমিটেড নামের এই পোল্ট্রি খামার।খামারের বর্জ্য খোলা নালায় ফেলা হচ্ছে। এসব বর্জ্যের বিষাক্ত পানি আশপাশের জমি ও এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধ এতটাই তীব্র যে আশপাশের মানুষের চলাফেরা ও বসবাস কঠিন হয়ে পড়েছে। বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। গবাদি পশু বর্জ্যযুক্ত পানি পান করে মারা যাচ্ছে। পাশাপাশি ফসলি জমির উৎপাদনও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রভাবশালী রমেশ সেন এই খামারের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে স্থানীয়দের অভিযোগ শুনতে কেউই আগ্রহী নয়। ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর এলাকাবাসী পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০ অক্টোবর শুনানির আয়োজন করা হলেও কোনো কার্যকর সমাধান হয়নি।
পরবর্তী সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর কার্যালয়ে মানববন্ধন করেও প্রতিকার পাননি এলাকাবাসী।স্থানীয় সুরুজ মিয়া বলেন, “আমাদের কথা বলার অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করলে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।” আরেকজন অভিযোগ করেন, ১৮-২০ জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা হচ্ছে। খামারের দুর্গন্ধে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।তিন বছর আগে এই খামারটি রমেশ সেন তার আত্মীয়ের সঙ্গে পার্টনারশিপে গড়ে তোলেন। খামারটি নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিচালিত হলেও ক্ষমতার দাপটে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না। খামার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এবিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব আশিকুর রহমান সমী জানান অবশ্যই অবৈধ পোল্ট্রি খামারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।