ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হযরত মোহাম্মদকে (স:) কটুক্তি করায় সেনা বাহিনী কলেজ ছাত্রকে আটক করেছে। উপজেলার কাদিরদী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র হৃদয় পাল (১৯) হযরত মোহাম্মদকে (স:) নিয়ে ফেসবুকে একটি কটুক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেয়। বিষয়টা নিয়ে সোমবার (২৮.১০.২৪) কলেজে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সেনা বাহিনী এসে তাকে আটক করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
জানা যায়, কিছুদিন আগে কৃষ্ণা দাস রাহুল নামে ফেসবুক ফেকআইডি থেকে হযরত মোহাম্মদ (স:), উম্মেহানি (রা:) হযরত আয়েশা (রা:) ও কাবা শরীফ নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেয়। সোমবার দুপুরে কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের ভীমপুর এলাকার হৃদয় পালকে আটক করে। শিক্ষার্থীদের ধারণা কৃষ্ণ দাস রাহুল নামের ফেসবুক আইডিটি হৃদয় পাল পরিচালনা করে। এ সন্দেহে হৃদয় পালকে শিক্ষার্থীরা মারধর করলে কলেজ কতৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে রাখে।
কিন্তু কলেজের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী, বোয়ালমারী থানার ওসি মো. গোলাম রসুল, এবং ফরিদপুর থেকে সেনা বাহিনীর একটি টিম ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে সেনা বাহিনী হৃদয় পালকে আটক করে ফরিদপুর ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান মোল্যা বলেন, প্রায় ৪-৫ মাস পূর্বে কৃষ্ণা দাস রাহুল নামে ওই আইডি থেকে হযরত মোহাম্মদকে (স:) নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেয়। তখন পুলিশ হৃদয় পালকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছিল। তবে হৃদয় পাল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে। তার এক বন্ধু তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ওই স্ট্যাটাস দিয়েছে বলে হৃদয় পাল দাবি করেছে।
সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাদিরদী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রাফিউল আলম মিন্টু নিশ্চিত করে বলেন, কৃষ্ণা দাস রাহুল নামের ওই ফেসবুক আইডি হৃদয় পালের ছিল।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম রসূল বলেন, হৃদয় পাল নামে এক কলেজ ছাত্রকে সেনা বাহিনী আটক করে হেফাজতে নিয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা বা লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কলেজের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর। এটা নিয়ে কলেজে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ছাত্র জনতা হৃদয় পালকে পেলে মেরে ফেলতে পারে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। আইন শৃংখলা ঠিক রাখতে আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। পরে সেনা বাহিনী হৃদয় পালকে আটক করে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে।