শিরোনাম:
বোয়ালমারীতে ১১৯টি মন্ডপে পূজা অর্চনায় প্রস্তুত, কড়া নিরাপত্তায় প্রশাসন গোপালগঞ্জে কাশিয়ানী ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা! ১০ গুণ বেশি ব‍্যয়ের আজ একনেকে উঠছে কালুরঘাট সেতু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতি মধুখালীতে শিক্ষায় অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ সাংবাদিক লাঞ্ছিত,ঘটনায় আদালতে মামলা নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলো ছড়াতে অনন্য উদ্যোগ সালথায় খেলাফত যুব মজলিসের জনশক্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার বোয়ালখালীতে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতের মতবিনিময় সভা রায়পুরাতে পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে পৌর প্রশাসকের মতবিনিময়

গঙ্গাচড়ার পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
20.3kভিজিটর

রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরের গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি চন্দ্র সরকারকে পীরগঞ্জের শিবপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক আদেশে তাকে বদলির কথা জানান গঙ্গাচড়া সহকারী কমিশনার ভুমি জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি ।গত ১০ সেপ্টেম্বর পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।জানা যায়,গঙ্গাচড়া ভুমি অফিসের পিয়ন পদে মাত্র ১৫-২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে ভূপতি চন্দ্র সরকার (৫০) কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তিনি বাবার পৈত্রিক সম্পতি হিসেবে পেয়েছিলেন মাত্র ৪ শতক বসতবাড়ি। তার অন্য তিন ভাইও বাবার বসতবাড়ির সমান ভাগ পান। দুই ভাই মারা গেছেন। ভাইয়েরা এক শতকও জমি কিনতে না পারলেও ভূপতি সরকার কিনেছেন ৪ থেকে ৫ একর আবাদি জমি। গ্রামে নির্মাণ করেছেন বিলাস বহুল দু’টি বাড়ি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ৪ কোটি টাকায় কিনেছেন রংপুর নগরীতে সাত শতক এবং কোটি টাকায় গঙ্গাচড়া শহরে ৮ শতক জমি। তিনি শ্বশুর বাড়ি এলাকায়ও কিনেছেন নামে-বেনামে অবাদি জমি। আছে স্ত্রীর নামে ব্যাংক ব্যালেন্সও।স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে সংসার ভূপতি চন্দ্র সরকারের ।বড় ছেলে শুভ চন্দ্র এসএসসি পাশ করে আর কলেজে ভর্তি হয়নি। দ্বিতীয় ছেলে সজিব চন্দ্র মহন্ত একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাস তৃতীয়বর্ষে অধ্যায়নরত। পিয়ন পদে এ সামান্য বেতনে চাকরি করে তাঁর এত সম্পদ অর্জন নিয়ে বিস্মিত হয়েছেন এলাকার মানুষ।তিনি গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পিয়ন পদেই কর্মরত ছিলেন।সেখানে সেবা নিতে আসা লোকজন তাকেই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে চিনেন। তার চা, পান ও অফিস পরিস্কার রাখা কাজ হলেও তিনি অফিসিয়াল যাবতীয় কাজ করেন। জমির নামজারি করে দেওয়ার নামে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও কারও জমির কাগজপত্রে ভেজাল থাকলে সেটি নিয়েও তিনি দেনদরবার করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।এছাড়াও ভূপতি চন্দ্র সরকার লন্ডন প্রবাসী আজিজুলের জমি লিখে দেওয়ার কথা বলে উপজেলার পশ্চিম চেংমারী গ্রামের সুজন মিয়ার কাছ থেকে পাঁচ লাখ, মেরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ৭৫ হাজার এবং মমতাজ বেগমের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন।এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর রংপুর,মাহমুদ হাসান মৃধা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x