ইবি প্রতিনিধি: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে। তার স্ত্রী জয়া সাহার ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ও ৩০ ধারায় করা মামলার শুনানিতে জামিন না মঞ্জুর করে এ আদেশ দেয় আদালত।
বৃহস্পতিবার নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আলেক শেখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আট বছর আগে সঞ্জয় ও জয়ার বিয়ে হয়। এসময় বাদীর (জয়া) কল্যাণের কথা চিন্তা করে তার বাবা নগদ ২৫ লক্ষ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ফার্ণিচার দেয় সঞ্জয়কে। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে জয়া সাহা বিভিন্ন সময় তার স্বামী সঞ্জয় সরকার দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। একইসঙ্গে জয়াকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর শুরু করে সঞ্জয়। গত বছরের জুনে আবারও ১০ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পরে জয়া টাকা আনতে অপারগতা জানালে তাকে ও তার সাড়ে চার বছরের শিশু সন্তানকে জোরপূর্ব শ্বশুরবাড়ি রেখে আসে সঞ্জয়। তারপর থেকে উভয়েই একবছরের বেশি সময় আলাদা থাকছেন।
জানা যায়, নির্যাতনের শিকার স্ত্রী জয়া সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নাটোরের উপরবাজার উপজেলার রতন কুমার সাহার বড় কন্যা। এদিকে সঞ্জয় কুমার পাবনা জেলার চড়াডাঙ্গা গ্রামের সুশান্ত কুমার সাহার পুত্র।
এ বিষয়ে সঞ্জয় কুমার সরকারের আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, ‘আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আশা করি তিনি জামিন পাবেন। আমরা আগামী রোববার তার জামিনের জন্য আবারও চেষ্টা করবো।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী আলেক শেখ বলেন, ‘উনি (সঞ্জয় সরকার) আজকে জামিন চেয়েছিলেন। উনার নামে তার স্ত্রী (জয়া সাহা) নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন। আজ সেই মামলায় জামিন নিতে আসলে তাকে জজ সাহেব জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।’
অপরাধীর খোজে প্রতিদিন, যেকোন খবর প্রকাশের জন্য মেইল করুন- wsbnews24@gmail.com
Copyright © 2025 wsbnews24.com. All rights reserved.