জেলা শহরের কুয়াডাঙ্গা এলাকার এক নারীকে বিয়ে করে তার সর্বস্ব লুটে নিয়ে উধাও হয়ে যান অষ্ট্রিয়া প্রবাসী চৌধুরী আহাদুজ্জামান। বাংলাদেশে তার বাড়ী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে। ভুক্তভোগী নারী (৪৮) এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন কয়েকমাস পূর্বে চৌধুরী আহাদুজ্জামান তাকে আইন মোতাবেক বিয়ে করেন।
তিনি বিয়ের সময় কাবিন নামায় জন্ম সাল উল্লেখ করেন ১৯৫১ সাল। চলতি সময়ে তার পরিবার নেই বলে দাবী করেন এবং মানবিক কারন দেখিয়ে বিয়ের প্রয়োজন বলে জানান। সে মোতাবেক মাত্র এক লাখ টাকায় কাবিন রেজিস্ট্রী করান। বিয়ের পর থেকেই চৌধুরী আহাদুজ্জামান ওই নারীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারীর কাছ থেকে কৌশলে কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যান প্রতারক চৌধুরী আহাদুজ্জামান। নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ধার করে টাকা এবং বিয়ের সময় নিজের স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া স্বর্নালংকার স্বামীকে দিয়ে এখন পাগলপ্রায় নারী। ওই নারী আরও জানান বিয়ের আগে তার সাথে ভালোবাসার ছলনা করেন প্রতারক আহাদুজ্জামান। তাকে অষ্ট্রিয়ার পাসপোর্ট দেখিয়ে সেখানে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন।কিন্তু সবই ছিলো তার প্রতারনা।
বিয়ের পর যখন টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে চম্পট দেন তখন তার খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় যে চৌধুরী আহাদুজ্জামান এর আগেও একাধিক নারীর সাথে এরকম প্রতারনা করেছেন। গত কয়েকদিন আগে তাকে গোপালগঞ্জ শহরে দেখতে পেয়ে সে সময় ভুক্তভোগী ওই নারী তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এক পর্যায়ে সে আবার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তারপর থেকেই চৌধুরী আহাদুজ্জামান ও তার লোকজন ভুক্তভোগী ওই নারীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
ওই নারী কোনো উপায় না দেখে এখন আইনের আশ্রয়ে যেতে চাইছেন। ভালোবাসা আর মানবতার ফাঁদে ফেলে চৌধুরী আহাদুজ্জামান কত নারীর সর্বনাশ করেছেন তা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মনে করেন প্রতারনার শিকার ভুক্তভোগি সেই নারীর পিতা-মাতা।