ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং মুক্ত খবর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও স্হানীয় দৈনিক বাঙ্গলী সময় উপজেলা প্রতিনিধি আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেল(৪২) এর হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিলেন ট্রলি ব্যবসায়ী ও ট্রলি সমিতির সভাপতি দাউদ মোল্যার ছেলে শামীম মোল্যা (৩৫)।
শনিবার ২০ এপ্রিল বিকেল ৪টা ৫৭ মিনিটে শামীম তার ব্যক্তিগত মূটো ফোন দিয়ে সাংবাদিক আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হাত, পা ভেঙ্গে দেওয়া সহ মেরে ফেরে ফেলার হুমকি দেন।
সাংবাদিককে হুমকিদাতা শামিম মোল্যা (৩৫) একজন ট্রলি ও ভেকু ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলার পৌর সদরের ৬ নং কুসুমদি ওয়ার্ডের ট্রলি সমিতির সভাপতি দাউদ মোল্যার ছেলে।
মূলত গত ১৯ এপ্রিল প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবরের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটা স্টাটাসকে কেন্দ্র করে শামীম এই হুমকি দেন। স্টাটাসটি ছিলো ” আলফাডাঙ্গায় প্রায় প্রতিদিন মটর সাইকেল পুলিশের হাতে কাগজপাতির জন্য অভিযান হয় কিন্তু ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক করতে দেখি না।
এর কারণ কি ?”
এর পরে আজ ট্রলি ব্যবসায়ী ও ভেকু ব্যবসায়ী শামিম তার ব্যক্তিগত ফোন ০১৭৩১৬৫৬৫৩৬ নাম্বার দিয়ে সাংবাদিক আরিফুজ্জামানকে মোল্যা ১মিনিট ২১সেকেন্ডের একটি ভয়েস কলে বলেন, ” কোন যায়গায়? আয় আমি আমার অফিসে আছি তোরে হিসাব দিবো তোর হিসাবের দরকার না, এখনো সময় আছে ভালো হ, তোর টেঙ্গিটুঙ্গি ভাইঙ্গে ফেলবানি।
” সাংবাদিক এক পর্যায়ে শামিমকে জিজ্ঞাসা সে হুমকি দিচ্ছে কিনা তখন সে আবার বলে, “এই নটির ছেলে আমার বাপের সম্বন্ধে বলবি তোক চাটবো! যদি তুই পারিস ঠেকাস। আমি যেরকম বললাম এরকম পারলে বলিস আমার বাপের সম্বন্ধে, তোর কলিজা ছিড়ে ফেলবো, তোর নলার থেকে খুলে ফেলবো শুয়োরে বাচ্চা”
এব্যাপারে সাংবাদিক আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেল কালবেলাকে বলেন আমি ১ দিন আগে ফেসবুকে সরকারের রাজস্ব ফাকি দেওয়া অবৈধ ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক নিয়ে ফেসবুকে পুলিশি তৎপরতা নিয়ে একটা স্টাটাস দিলে ট্রলি সমিতির সভাপতি এবং ট্রলি মালিক শামিম আমাকে শনিবার বিকেলে হাত,পা ভেঙ্গে দেওয়া সহ মেরে ফেলার হুমকি দেই এতে আমি এখন জীবন নাশের ভয় পাচ্ছি। এবিষয়ে থানায় একটা জিডিও করেছি।
হুমকির বিষয়ে শামিম মোল্যার কাছে জানতে চাওয়া হলে ( ) বলেন, আমার বাবার সম্বন্ধে বাজে কথা বলায় আমি তার সাথে কথা বলেছি, কেউ আমার বাবাকে কথা বললে আমি কি তাকে ছেড়ে দিবো ! সে ফেসবুক স্টাটাসে আমার বাবাকে নিয়ে কোথায় কত টাকা নেয় সে এসব লিখেছে।”
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজার কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে প্রথমে তিনি কল রিসিভ করে হ্যলো বলে কেটে দেন পরবর্তীতে তাকে ২ বার ফোন দিলে একবার কেটে দেন এবং দ্বিতীয়বার ফোন ধরেননি।
জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মধুখালী সার্কেল) মিজানুর রহমানকে আলফাডাঙ্গা থানা ওসি বক্তব্য না দেওয়া এবং সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ” বিষয়টি আমার নলেজে নেই, বিয়টা জানবো, শুনবো আমি।”