চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। পথচারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে ফুটপাত দখলমুক্ত করা, সড়কে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে বাস কোম্পানি গঠন, ত্রুটিপূর্ণ যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। কিন্তু এসব কাজ সিটি করপোরেশন বা পুলিশের একার পক্ষে করা সম্ভব না। এজন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করা জরুরি।
ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রান্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের সহায়তায় সংলাপটি আয়োজন করে চসিক। সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, নগরের সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে মাঠ পর্যায়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। তাই সড়কগুলোকে নির্বিঘ্ন করার জন্য অবকাঠামো নির্মাণের আগে পুলিশের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি। এর ফলে সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য জটিলতা পরিহার করা সম্ভব হবে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম, নিরাপদ সড়ক চাই—নিসচার কেন্দ্রীয় মহাসচিব লিটন আরশাদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ ও ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম।
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন পুলিশ সদস্যের পরিবারের সদস্যরা সভায় অংশ নেন। স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন-উল-ইসলাম চৌধুরী। দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের সার্ভেইল্যান্স কোঅর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ। সঞ্চালনা করেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী লাবিব তাজওয়ান উৎসব।