শিরোনাম:
প্রভাবশালীদের দাপটে কেনা জমির দখলে রাখতে পারছে না নওগাঁর গরীব কৃষককেরামত, উল্টো বিভিন্ন মামলা, হামলা জরজরিত গোপালগঞ্জে গ্রেপ্তার আসামী হাজতির মৃত্যু গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতাদের উপর স্থানীয়দের হামলা, আহত ৩০ আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা,১০ দফা দাবী উপস্থাপন যাত্রী অধিকার দিবসের বক্তারা সুনামগঞ্জে এলজিইডির দুই কর্মকর্তার দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ইবির এক নক্ষত্রের পতন, আর ফিরবেন না অধ্যাপক মুঈদ গঙ্গাচড়ায় টি‌সিবি পণ্য বিচরণে অনিয়মের অভিযোগ। ভূপতি সরকারের বিরুদ্ধে অবহিত করণ চিঠি দিলেন সহকারী কমিশনার দুই ছেলের হাতে বাবা খুন! পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে আটক

গঙ্গাচড়ায় বেড়েই চলছে প্রতারক চক্রের প্রতারণার ফাঁদ!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩
58.0kভিজিটর

গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের এক নতুন নারী উদ্যোক্তা মিতু বেগম। প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন তিনি।সরজমিনে জানা যায়,মিতু বেগম থাকেন সন্তান স্বামী নিয়ে চর বিনবিনিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখানকার স্থানীয়দের নিয়ে সমাজের ঝড়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে কৃষি থেকে শুরু করে দেখা শুনা করেন অসহায় মানূষদের। বিপদে হাতটি বাড়িয়ে দেন যেকোনো সময়। তাই তো তিনি চরাঞ্চলে পরিচিতি পেয়েছে মিতু আপা নামে। আর এই পরিচিতিটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো তাঁর হাতে গড়া খামারের স্বপ্নের। প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলেন তিনি। কোথা থেকে কি হয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পেলেন না এই নারী উদ্যোক্তা মিতু বেগম।সরজমিনে কথা হলে তিনি জানান,স্বল্প সুদে সরকারী ব্যাংকে ঋণ পাওয়ার আশায় প্রতারক চক্রের সাথে পরিচয়।তাদের কথা বার্তা সব কিছু বিশ্বাস করেই আজ আমি নিঃস্ব। ঋণের জন্য সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দীর্ঘ এক মাস লেনদেন করে একটা মোটা অংকের টাকা একাউন্টে রেখে দিতে বললেন সাত দিনের জন্য। এরেই মাঝে বাসায় এসে লোনের জন্য সব কাগজ পত্র প্রস্তুত করে প্রতারক চক্রের মুলহোতা পাশের গ্রামের রমজান খলিল ও লালমনিরহাটের এনজিও কর্মী মামুন। অবশেষে লোন পাওয়ার জন্য আমার সেই একাউন্টের ব্লাঙ্ক চেকের পাতা নিয়ে সব কিছু রেডি বলে চলে যায় তাঁরা। এর পরের দিনেই মোবাইলে ম্যাসেজ আসে আপনার একাউন্ট থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা উঠানো হয়েছে। পরক্ষনে ঐ প্রতারক চক্রের মোবাইলে ফোন দিলে আর সাড়া পাওয়া যায় নাই।মিতুর মতো চর বিনবিনিয়ার রুহুল,আতিয়ার রহমান,আতিকুল,শফিকুল,আব্দুল আজিজ ছাড়াও কয়েকজন গ্রামের কৃষকের সাথে কথা হয়। চর বিনিবিনিয়ার আনোয়ার মিয়ার সাথে কথা হয়। তিনি জানান এবছর বন্যার সময় রমজানের গোডাউনে ২১০ মন ভুট্রা রেখেছিলাম। সেটাও সে আমাকে না জেনে বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব।আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় নেই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের একেবারেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা। টার্গেট গ্রামের সহজ সরল মানুষের উপর।কেউবা প্রতারিত হচ্ছে লোভে কেউ বা প্রতারিত হচ্ছে প্রতারকদের অভিনব কায়দায়। কোনো কিছু বুঝে ঊঠার আগেই লাপাত্তা হচ্ছে যাচ্ছে সেই চক্র। অবশেষে বিচারের বানী কাঁদে নিভুর্তে ঐ ইউনিয়ন কিংবা গ্রাম্য শালিশের মধ্যেই। কেনো না আদালত কিংবা থানা পর্যন্ত যাওয়ার পথ খুজে পায় না তাঁরা এসব প্রতারক চক্র বাহিনীর কর্মকান্ড থেকে। অথবা তাদের এই প্রতারিত হওয়ার গল্পটাও থেকে যায় লোক চক্ষুর অন্তরালে।এব্যাপারে ঐ ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার মনোয়ার হোসেন জানান, শালিশ বৈঠকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে রমজান ও তাঁর বাবা তালেব মিয়া বাড়ী থেকে লাপাত্তা হয়েছে। খলিল এখনো বহাল অবস্থায় গ্রামেই আছেন করছেন ব্যবসা। আর এক প্রতারক মামুন চালাচ্ছেন তাঁর গ্রামের বাড়ী লালমনিরহাট শাপ্টি বাড়ীতে রমরমা দাদন ব্যবসা। এর বিচার চান তিনি।সব কিছু শেষ হওয়ার পরে এই প্রতারকদের নামে বাদী হয়ে মামলা করে আদালতে মিতু বেগম।এব্যাপারে মুঠো ফোনে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এবিষয়ে গঙ্গাচড়া থানায় কোনো অভিযোগ আসে নাই। অভিযোগ আসলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x