এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রুপগঞ্জ থানার কর্নগোপ এলাকার কিশোরের গ্যারেজে। ডিবির টিমের সকলের নাম না জানা গেলেও তিনজনের নাম পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে একজন নারায়ণগঞ্জ ডিবির এসআই পরিচয়ধারী মনির, তার কোমরে একটি পিস্তল ছিল কনস্টেবল পরিচয়ধারী অপুর্ব তার হাতে একজোড়া হেন্ডকাফ ছিলো, মহিলা ওসি পরিচয়ধারী নওশীন রহমান লিজা প্রকাশ (লিমা আক্তার) তার কাছে একটি ওয়াকিটকিও ছিলো।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জনাব, গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, আজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নারায়ণগঞ্জ আগমন উপলক্ষে বাহিরে ডিউটিরত অভিযানিক কোন টিম কাজ করছে না। এমনকি ঢাকা থেকে কোন টিমও কাজ করার বিষয়টি আমার নলেজে নাই। অতএব, যারা ছিল তারা সম্পুর্নরুপে ভুয়া অবৈধ। গ্যারেজে ট্রাক মালিক রিয়াজের কাছ থেকে নগদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও গলায় ৮ আনি ওজনের স্বর্নের চেইন গ্যারেজে থাকা গাড়ির স্টাফ ড্রাইভারদের কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
ডিবির মহিলা ওসি পরিচয়ধারী নওশীন রহমান লিজা প্রকাশ (লিমা আক্তার) এর পকেটে থাকা 330 997 6151 নাম্বারের বাংলাদেশ পুলিশের একটি কার্ড দেখায়। ড্রাইভার স্টাফদেরকে তার কার্ডে নারায়ণগঞ্জ ডিবি অফিসার ইনচার্জ স্পষ্ট লিখা ছিলো এমনটাই প্রমাণ দেখায় সবাইকে অতপর বলেন, আপনাদের বুঝতে আর কোন সমস্যা আছে? পাবলিক কিছুটা থমকে দাড়ায়।
তার পরনে নারায়ণগঞ্জ ডিবির কালারের কোর্ট পড়া ছিলো এবং মুখে বাংলাদেশ পুলিশের মাক্স লাগানো ছিলো। সাধারণ ড্রাইভার হেলপাররা হিতাহিত জ্ঞানের অভাবে বিষয়টি আচঁ করতে পারেনি যে এরা ভুয়া ডিবির টিম। অতপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সাংবাদিকরা তদন্ত শুরু করেন। নওশীন রহমান লিজা প্রকাশ লিমা আক্তার এর ছবি দেখে তার প্রতারণার বিষয়গুলো একে একে সামনে আসে।
মানবজমিন পত্রিকার দশমিনা থানা প্রতিনিধি তিনি জানান গত ১০ জুলাই দশমিনা এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের মাক্স পরিহিত গায়ে ডিবির জেকেট পরা এই মেয়েটি একটি ছেলের কাছে চাদা দাবী করে চাদার টাকা না দেওয়ায় নাকে মুখে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে বিষয়টি এলাকাবাসী দেখতে পায়। তাতক্ষনিক এলাকাবাসী তাকে আটক করে এবং থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাফিসা নাজ নীরা এর কানে যায় তিনি নগদ জরিমানা ভুল স্বীকার করায় পরবর্তী কোন দিন অত্র উপজেলায় তাকে পাওয়া গেলে বা দেখা গেলে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও শাস্তি হবে বলিয়া ঘোষনা দেন। অতপর এলাকাবাসী মেনে নিলে এ বারের জন্য মুক্তি চেয়ে ঢাকায় চলে আসেন।
এই মেয়েটির বাবা মা স্পষ্টকারে জানিয়ে দেন তাদের সাথে তাদের মেয়ের কোন যোগাযোগ নাই এবং তাদের মেয়ে যে, এসব করেন তারা জানেন না। মা বাবার কাছে বলে এসেছেন যে, এনএসআই তথা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্ট এ পরিক্ষা দিয়ে উত্তির্ণ হয়েছেন এখন সে চাকুরী করছেন। প্রশাসনের বিভিন্ন লোকদের সাথে ছবি তুলে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেন।
ভুয়া কার্ড বানিয়ে সাংবাদিকের পরিচয় ও দিয়ে থাকেন বিভিন্ন জায়গায় তার কাছে Qtv বাংলা নামে একটি কার্ড,বর্তমান সময় অনলাইন টিভির কার্ড,এবং ক্রাইম পেট্রোল টিম এর কার্ড রয়েছে তার কাছে যার কোন অস্তিত্ব নাই এবং কয়েকটি ভুয়া কার্ড দেখায় বলে জানান মানবজমিন প্রতিনিধি এবং দশমিনা প্রতিদিনের এডিটর।
গত ৩১ জুলাই কালবেলার প্রতিনিধি নাইম এর কাছ থেকে ২৫ শত টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রমান পাওয়া যায় টাকা ফেরত চাইলে ইজ্জত হানীর মামলার ভয় দেখান। বিভিন্ন কল-কারখানায় যেয়ে ভুয়া পরিচয় দিয়ে হুমকি ধুমকি দিয়ে টাকা নিয়ে থাকে এই লিজা নামের প্রতারক মেয়েটি। নারায়ণগঞ্জ ডিবিতে চাকুরীরত উজ্জল, রুহুল, মনির, এদের পরিচিত নাম ব্যবহার করে তার ভুয়া টিমের সদস্যদের নামে।
অথচ, এই নামে যারা রয়েছে তারা এই মেয়েটিকে চিনেই না বলে জানান। এমন নৈপুন্য অভিনয় করে মানুষের টাকা পয়সা মালামাল লুটপাট করে থাকেন এই মেয়েটি। মাদকাসক্তির প্রমাণ ও মিলে তার, এই মেয়টির স্বামী আছে থাকেন প্রবাসে এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নানান অপরাধের জন্ম দিচ্ছে সমাজে।
জন পরিচিত লোকদের সাথে খাতির জমিয়ে গাড়িতে উঠে সেলফি পাশে দাড়িয়ে সেলফি তুলে ফাসানোর চেষ্টাও করে সে। কারো কারো অফিসে বসে ছবি তুলে তার অফিস বলে থাকেন মানুষের কাছে অতপর ভুক্তভোগী মানুষ অফিসের ঠিকানায় যোগাযোগ করে হতাশ হয়ে পড়েন, তাকে ডাকলে বা খোজঁলে সন্ধান মিলানো যায় না।
বেশি ফোন দিলে ব্লাক লিস্টও করে দেন। রুপগঞ্জে কর্নগোপ এলাকায় কিশোরের গ্যারেজে লুটপাটের বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, এ বিষয় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।