মো. নাঈম হাসান ঈমন ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে তেলবাহী ‘সাগর নন্দিনী-২’ ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণ ঘটে ট্যাংকারটিতে আগুন লেগে গেছে। এতে ৭ পুলিশ সদস্য দগ্ধ হয়েছে।
সোমবার (৩জুলাই) উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ওই জাহাজটিতে হটাৎ আগুন ধরে যায়। বিকেলে জাহাজের মাস্টারসহ নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধারের পর উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করে ফায়ার সার্ভিস ও কোষ্ট গার্ড। এর আগে ওই ট্যংকারে থাকা ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল থেকে ৭ লাখ লিটার তেল অন্য জাহাজে অপসারণ করা হয়।
রাজাপুর গ্রামের কাছে থাকা জাহাজটিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মালিকানাধীন সাগর নন্দিনী-২ জাহাজ থেকে ডিজেল ও পেট্রোল অন্য একটি ছোট ট্যাংকারে স্থানান্তরের কাজ চলছিল। এর মধ্যেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ট্যংকারে থাকা চার লাখ লিটার পেট্রোল দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। আগুন ছড়িয়ে যায় পানিতেও। তবে আগুনের তীব্রতায় দমকল বাহিনীর কর্মীরা কাছে যেতে পারেনি। ঘটনাস্থলের কাছেই পদ্মা ও মোঘনা কোম্পানীর পোট্রোলিয়াম ডিপো থাকায় আতংকিত হয়ে ঘর ছাড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার জানান, ‘যারা ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে গেছে তাদের বসত ঘর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’ বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় জাহাজের পেছনের তিনতলা বিশিষ্ট চালকের কক্ষ ও কেবিনের অংশ উড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। নদীতে ভেঙে পড়া জাহাজের পেছনের অংশ থেকে সোমবার তিনজনের এবং গত রোববার ইঞ্জিন রুম থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়।
সাগর নন্দিনী-২ নামের এই জাহাজটি ছয় মাস আগে গত ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে চাঁদপুরে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে যাওয়ার পথে ভোলায় ডুবে গিয়েছিল। তখন কুয়াশার মধ্যে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে ট্যাংকারটির তলা ফেটে গিয়েছিল।
এর আগে, ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর সুগন্ধা নদীর একই স্থানে সাগর নন্দিনী-৩ জাহাজটিতেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন।