শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের মুশফিক বিল্লাহ্ জিহাদ এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সালথায় গণসংবর্ধনা গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল বোয়ালখালীতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার অটো গাড়ি ছিনতাইয়ের ১২ দিন পরও পুলিশের নীরবতা, উল্টো ছিনতাইকারীরা বাদীকে হুমকি! চৌমোহনাআদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন সুমন বাহাদুর শামীম শিবচরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শিবচরে এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু সরকারি জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য হলেন অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী গোপালগঞ্জ ৪ গা‌ড়ী সং*ঘর্ষ নিহত ১জন বোয়ালখালীতে ঈগল উদ্ধার

কুড়িগ্রামে চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ঈদের আগেই বন্যার শঙ্কা।

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩
84.4kভিজিটর

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে চর ও নিম্নাঞ্চল। এরই মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। আসন্ন ঈদের আগে বন্যার শঙ্কা নিয়ে দিন পার করছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ৮৪ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদীর পানি জেলার ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় সব কয়টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও এরই মধ্যে বেশকিছু চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।রাস্তাঘাট তলিয়ে চরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছেন বাসিন্দারা।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের আরাজী পিপুলবাড়ি গ্রামের জয়নাল মিয়া বলেন, ‘তিনদিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলে এলাকার চরগুলো ডুবে গেছে। পটোল, তিল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এখন বাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। গরু-ছাগল, বাচ্চাদের নিয়ে আবার দুর্ভোগ শুরু হলো।’

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোতাহের হোসেন বলেন, চরের রাস্তা তলিয়ে গেছে। এখন নৌকাই আমাদের ভরসা। যাদের নৌকা নেই তারা কলাগাছের ভেলা বানিয়ে চলাচল করবেন। প্রতিবছর এসময় আমাদের দুর্ভোগ বাড়ে।

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নে অনেক আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। চরে শতাধিক বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে দু একদিনের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। চর পার্বতীপুর, পোড়ার চরের মানুষ বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছেন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে জেলার সব কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। বন্যার আশঙ্কাও নেই।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলার সবকটি উপজেলায় প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে বন্যার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x