ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহর শংকর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
অটককৃতরা হলো বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার কচুবুনিয়া এলাকার মৃত তোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৬০), ভোলা জেলার দক্ষিন আইচা থানার চড় আড়কলমি এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. আল আমিন (৩৯), নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার শ্রীনদ্দি এলাকার মৃত সৈয়দ আবুল মোবারকের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (৩৭), লক্ষীপুর জেলার লক্ষীপুর সদর থানার রতনপুর এলাকার মৃত আব্দুল ছত্তারের ছেলে মো. কামাল উদ্দিন (৪৫), ভোলা জেলার লালমোহন থানার চরভুতা এলাকার মৃত সাকাওয়াত হোসেনের ছেলে মো. শামীম হোসেন (১৯), ঝালকাঠির সদর থানার গোয়ালকান্দা এলাকার মৃত বজলু হাওলাদারের ছেলে মো. এনায়েত হাওলাদার (৪২)।
পুলিশ জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দুর্নীতি বিরোধী সোসাইটির ব্যানারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে অসহায় মানুষদের ফাঁদে ফেলে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিত। শনিবার বিকালে রাজাপুর উপজেলা সদরে আসিয়া তারা নিজেদের দুদকের সরকারী অফিসার পরিচয় দিয়ে জানায় জায়গা-জমি নিয়ে একটি অভিযোগ আছে। জায়গা-জমির ঝামেলা নিষ্পত্তি করিয়া দিবে বলে মিজানুর রহমান নামে এক জনের কাছে এক লাখ টাকা দাবী করে। মিজানুর রহমান নগদ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাকি টাকা পরে দেয়ার আশ্বাস দেয়।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহর শংকর এলাকায় মৃত আসমত আলী হাওলাদারের ছেলে অব্দুর রহিম হাওলাদারকে ভয় দেখিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। রহিম ছাগল বিক্রয় করে তাদের সাথে দেখা করবে বললে তারা স্থান ত্যাগ করে ওই এলাকার আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বিষটি সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ভূক্তভোগী মিজান বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আটককৃত ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে।