চট্টগ্রামের বোয়ালখালী নুরুন্নাহার বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে বোয়ালখালী থানা পুলিশ। আজ সোমবার (২৯ মে) সকাল ৮টার দিকে বোয়ালখালী উপজেলার ৭নং চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আবদুল কাদেরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নুরুন্নাহার বেগম ওই এলাকার আবদুল কাদেরের স্ত্রী এবং নিহত নুরুন্নাহার বেগম পূর্ব কধুরখীল ১নং ওয়ার্ডের সারেং বাড়ির রবিউল হকের মেয়ে। নিহত নুরুন্নাহারের সংসারে ৬ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দেড় বছর আগে কধুরখীল ১নং ওয়ার্ডের সারেং বাড়ির রবিউল হকের মেয়ে নুরুন্নাহার এর সাথে চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আবদুল কাদের এর সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আয়েশা সিদ্দীকা নামে ৬ মাসের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, কেন এ ঘটনা ঘটেছে তারা কেউ জানেন না। তবে মাঝে মধ্যে স্বামী স্ত্রী শাশুড়ির সাথে ঝগড়া হতো। নুরুন্নাহার বেগম এর মৃত্যুর খবর পেয়ে নিহতের বাবার বাড়ির লোকেরা স্বামী ও শাশুড়িকে মারধর করলে পুলিশ এসে ওই দু’জনকে পুলিশের হেফাজতে নেয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা স্বামীকে ঘরের দরজা ভেঙে ফের বের করে আবার গণপিটুনি দিতে উদ্যত হলে এবং গ্রেফতারের দাবি জানালে পুলিশ নুরুন্নাহার বেগমের স্বামী আবদুল কাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের শাশুড়ি বলেন, ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার পর জানতে পারি আমার পুত্রবধূর মানসিক সমস্যা আছে। সে নিজে নিজে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল করিম বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক। শাশুড়ি ও স্বামীর অত্যাচারে নুরুন্নাহার ফাঁসিতে ঝুলতে পারে কিংবা তারা তাকে মেরে ফেলে ফাঁসির কাহিনী বানাচ্ছে।
বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে মৃত্যুর কারণ। স্বামী আবদুল কাদেরকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা দিলে নিয়মিত মামলা নেওয়া হবে।