শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের ১০ টাকা নিয়ে তর্কাতর্কি, ব্যবসায়ীর মাথায় আঘাত বোয়ালখালীতে ভোরে বন্যহাতি আতংকিত এলাকাবাসী আলফাডাঙ্গায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ব্যক্তিগত কাজে ঘুরে বেড়ান.স.প্রা.বি প্রধান শিক্ষক বোয়ালমারীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদযাপন বোয়ালখালীতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধের সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর মান্দায় প্রাইভেট কার ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ২  সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত গঙ্গাচড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার নিয়ামতপুরে ডেমক্রেসিওয়াচ আস্থা প্রকল্পের যুবদের হুইসেল ব্লোয়ার সভা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ায় স্ত্রীকে পার্কে নিয়ে খুন করলো স্বামী।

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩
42.4kভিজিটর

ঝালকাঠিতে স্ত্রীর পেটে ছুড়ি বসিয়ে হত্যা করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেছে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম খান ওরফে অনু (৩২)। সোমবার (১৫মে) সকাল পৌনে ১০ টায় ঝালকাঠির ইকোপার্ক নামক জায়গায় নদীর ধারে ডেকে এনে পেটে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।

ঘটনার পর সোমবার (১৫মে) সকাল ১১টার দিকে হত্যার দায় স্বিকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ষ্ট্যাটাস দেয় অনু। পরপর পৃথক দুটি ফেসবুক ষ্টাটাসে অনু লিখেছেন, “বিশ্বাসঘাতক বেঈমানের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। এই খুনের জন্য আমি ছাড়া আর কেউ দায়ী নয়।”

এর পরপরই আলী ইমাম ঝালকাঠি সদর থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে হত্যার দায় স্বিকার করেন।

এ হত্যাকান্ডের একদিন পুর্বে স্ত্রী সায়মা পারভীন (২০) পরকিয়ায় লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে আরেকটি ষ্ট্যাটাস দিয়েছিলো অনু তার ফেসবুক আইডিতে। সেখানে সে লিখেছিলো “সুদীর্ঘ সাড়ে চার বছরের ভালোবাসা ছিলো তাদের। পরবর্তীতে মুসলিম শরীয়াহ অনুযায়ী তারা দুজন বিবাহ করেছে। কিন্তু তাদের দুজনের সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির আবির্ভাব হয় এবং অনুকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে স্ত্রী সায়মা। সম্প্রতী আসিফ ইকবাল নামের সায়মার এক মামাতো ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়।” একারনেই স্ত্রীকে হত্যা করেছে আলী ইমাম অনু।

নিহত সায়মা পারভীন ঝালকাঠি পৌর এলাকার ফকির বাড়ি সড়কে ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের নৈকাঠি গ্রামে। তার বাবা মো. শাহাদাৎ হোসেন তালুকদার ষ্টেশন রোডের টিন ব্যবসায়ী।

হত্যাকারী আলী ইমাম খান অনু ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে রয়েছে। তার বাবা মো. দিলদার হোসেন খান নান্না পেশায় দলিল লেখক। পৌর শহরের পুর্বকাঠপট্টি সড়কে ভাড়া বাসায় থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইছালীন গ্রামে।

সোমবার দুপুর ১ টায় ঘটনাস্থল থেকে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার।

ঝালকাঠি সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিতুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার দায় স্বিকার করার পর স্বামী আলী ইমামকে থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

হত্যার দায় স্বিকার করে আলী ইমাম গনমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘চার বছর সম্পর্কের পরপর আমরা ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিবাহ করি। আমাদের বিবাহের খবর দুই পরিবারের কাছে গোপন রাখি। আমরা যে যার বাসায় আলাদা থাকতাম। বিবাহের তিনমাস পর থেকে আমার স্ত্রী সায়মা পরকীয়া প্রেমে জড়ায়। আমি একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সায়মা আমার কথা কর্ণপাত করেনি। তাই ইকোপার্কে নদীর তীরে সায়মাকে ডেকে এনে হত্যা করেছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x