ঝালকাঠির নলছিটিতে ধানক্ষেতে বিদ্যুতায়িত হয়ে ষষ্ঠশ্রেনীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ইদুর নিধনের জন্য আগে থেকেই ধানের ক্ষেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রেখেছিলো ক্ষেতমালিক সুমন হোসেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম জাহিদুল খান। সে নান্দিকাঠি এলাকার রিপন খান’র ছেলে। ওখানকার আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেনীতে লেখাপড়া করতো।
নিহতের পরিবার এবং প্রত্যাক্ষদর্শী সহপাঠিরা জানান, ‘২২মার্চ বুধবার রাতে বাড়ির কাছে শীতলপাড়া নামক এলাকায় মাছ মারতে যায় ১২ বছর বয়সী জাহিদুল। মাছের ঘেরের পাশেই ছিলো ওখানকার সুমন হোসেন’র ইরি ধানের ক্ষেত। ক্ষেতের ধান ইদুরে যাতে নষ্ট না করে সেজন্য সুমন বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রেখেছিলো।
মাছমারার এক পর্যায়ে ঘের সংলগ্ন সুমনের ধানেরক্ষেতে ঢুকে যায় জাহিদুল। এসময় বৈদ্যুতিক ফাঁদে পা পরে জাহিদুলের। আর এতেই মৃত্যু হয় তার। জাহিদের মৃত্যুর তথ্য গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান।
স্থানীয় বাসিন্দা অভি হাওলাদার বলেন, ঘটনা বুধবা রাত সারে ৯টার দিকে। মাছ মারার সময় জাহিদুল খানের সাথে ওর বয়সী আরও কয়েকটি ছেলে ছিল। তারা জাহিদকে বিদ্যুৎ এর তারে জরিয়ে ছটফট করতে দেখে দৌরে বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়। এরপর বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। ততক্ষনে জাহিদুলের দেহ নিথর হয়ে যায়।
ঘটনার পরে রাত ১০ টার দিকে বিক্ষুব্দ জনতা ও শিক্ষার্থীরা ধানক্ষেতের মালিক সুমন হোসেনের বসত ঘরে হামলা চালায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এবং জাহিদুলের মরদেহটি নলছিটি থানায় নিয়ে যায়।
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. আতাউর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক তারে জরিয়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি বুধবার রাতেই পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। একই সাথে নিহতের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।