ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় শেখর ইউনিয়নে এক অসহায় নারী শরিফা(২৬) এর উপর হামলা হয়েছিল এখন চিকিৎসার অভাবে অসহায় শরীফার দিন কাটছে চোখে জলে ও ধুকে ধুকে। একই ইউনিয়নে বাগডাঙ্গা গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন মৃর্ধা পরিবার প্রতিবেশী এক হত দরিদ্র অসহায় নারী শরীফার উপর হামলা করে। ঘটনাটি ঘটেছিল পহেলা মার্চ সকাল নয়টা ত্রিশ মিনিটে দিকেই।
এই ঘটনার পরে বড় ভাই টুকু বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় অভিযোগ দেন।তদন্ত শেষে তাদের নামে মামলা হয়।আসামিরা হলো,রতন মৃধা স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৫০), তিন ছেলে সুজন মৃধা (৩০),রনজু মৃধা (২৭) রাজিব মৃধা (৩৫) ও সুজন মৃধা স্ত্রী ফাতেমা ওরফে সিলা বেগম এবং রতন মৃধা সালক কালাম। সরজমিনের গিয়ে দেখা যায়,মৃত শহীদ মোল্লার মেয়ে শরীফা শশুর বাড়িতে জমা জমির না থাকায় বাবার বাড়িতে একটি ছোট কুঁড়ে ঘরে বসবাস করে আসছে। কোন রকম জীবন ধারণ করে দিন যাপন করেছে। জরাজীর্ণ ঘরে মাটির উপর বিছানা করে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন।
সাংবাদিকদের দেখে দুই চোখে জল অঝোরে ঝরছে, কথা বলতে পারছে না। আরো জানা যায়,শরিফার তার নামে প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এনজিও থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দেয়। কিছু দিন হলো ওই পরিবার কিস্তির টাকা পরিশোধ করে না। এনজিও মাঠ কর্মী টাকার জন্য বাড়িতে আসলে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।পরে শরিফাকে এনজিও টাকার জন্য চাপ দেয়।
তাদের কাছে টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময় ঝগড়াঝাঁটি হয়। ঐ দিন টাকার জন্য একটু বেশি কথা বললে বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন মিয়ার পরিবারের লোকজন শরীফের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়। বড় ভাই টুকু বলেন,আমরা বাড়িতে না থাকায় আমার বোনকে চুল ধরে টানা হেঁচড়া মাথা,পিঠে,ঘাড়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও তল পেটে লাথি মারে।
সংবাদ শুনে বাড়িতে এসে বোনকে বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে ভর্তি করি। টাকার অভাবে বাড়িতে আনলে পরে রক্ত বমি হতে থাকে, দ্রুত আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।টাকার অভাবে আমার বোনকে আলফাডাঙ্গা থেকে বাড়িতে এনে রেখেছি।আমি কোন চিকিৎসা করাতে পারছি না। মুক্তিযোদ্ধা রতন মিয়া ক্ষমতাও টাকা আলা হওয়ায় আমরা সবসময় তাদের দ্বারা অত্যাচারিত হচ্ছি।
এদিকে রতন মিয়া বলে, সামান্য মারামারি হয়েছে,মিথ্যা বলব না। তবে শরিফাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে চলে আসে, রাতে বেলায় তার বড় ভাই টুকু আমাদের ফাঁসানোর জন্য শরীফাকে গালিগালাজ করে তলপেটে লাথি মারতে থাকে। অসুস্থ হলে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। টুকু ষড়যন্ত্র করে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন,মামলা নেওয়ার পর সুজন ও রনজু দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি চারজন আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।