জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব ভূখন্ড পেয়েছি। ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর পাক বাহিনীকে বাংলাদেশ থেকে বিদায় দেয়া হলেও তার প্রেতআত্মা এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও অতি সন্নিকটে। তাই পাকিস্তানি সেই প্রেতআত্মারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। জাতির পিতার কন্যা দেশ রত্ন শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা। তাই আমরা যারা আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ নেতাকর্মী রয়েছি, তারা সেই প্রেতআত্মাকে শক্ত হাতে দমন করে। আওয়ামী লীগের সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় এনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের রাখালগাছি গ্রামে শুক্রবার বিকেলে
(১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও ফরিদপুর -১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দ শামীম রেজা।
এসময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে তলাবিহিন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনিত করছেন। শুধু তাই নয় করোনা ভাইরাস ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্র নূজ্য হয়ে পড়েছে।
এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা অলরেডি দেউলিয়া হয়ে গেছে। অনেকের রিজার্ভ সমস্যায়ও ভুগছে। তবে বাংলাদেশ এখনও মাথা উচু করে সকল বিপদ বিপত্তি উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সরকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী ট্যানেলসহ দেশের সড়ক পথও ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লাগিয়েছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে সকল নেতাকর্মীদের নিরালস ভাবে কাজ করতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অন্যান্নদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. বাবুল প্রমুখ। এছাড়া সেখানে আরোও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগীতা প্রথম স্থান অধিকার করেন মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লাশিরগ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মোল্যার ঘোড়া, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন একই উপজেলার রায়পুর গ্রামের আবুল ফকির হোসেনের ঘোড়া, তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মাসুদের ঘোড়া , এবং চতুর্থ স্থান অধিকার করেন মো. রবিউল ইসলামের ঘোড়া। প্রতিযোগীদের পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।