শিরোনাম:
বোয়ালখালীতে পূজামন্ডপ পরিদর্শনে সেনাবাহিনী চট্টগ্রামে সবজির বাজারে আগুন ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অফ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন মতবিনিময় সভা বারাশিয়া যুব সংঘের গ্রন্হগার উদ্বোধন ও মাদক বিরোধী সেমিনার জেলেপল্লীর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ ও খেলাধুলা আয়োজন। রায়পুরায় পূজামণ্ডপের প্যান্ডেল ভাঙচুর নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বিশ্বম্ভরপুরে ডিবি পুলিশের অভিযানে ২৪ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক গোপালগঞ্জে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহার রাতের আঁধারে ৫০০ লাউ গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা। পঞ্চগড়ে দুর্গা পূজার মন্ডপ পাহারা দিচ্ছেন বিএনপি এবং জামাত ইসলামী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
51.6kভিজিটর

বোয়ালখালীর সারোয়াতলীতে ‘জাগ্রত বাংলা’ ভাস্কর্য

এম মনির চৌধুরী রানা,বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নির্মিত হচ্ছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের যুব বিদ্রোহ, স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগ্রামী বীরদের স্মৃতি রক্ষায় ‘জাগ্রত বাংলা’ ভাস্কর্য।


সারোয়াতলী ইউনিয়নের বীরসেনানী দের আত্মত্যাগের কথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে এ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত এ ভাস্কর্যে গাঁথা হয়েছে ব্রিটিশ-পাকিস্তান থেকে মুক্তি সংগ্রামের ত্রয়ী সম্মিলন।

চেয়ারম্যান বলেন আমরা বিস্মৃতি প্রবণ জাতি। এই বিস্মৃতি নিয়ে যেতে পারে অন্ধকারে। জন্মের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে ও পূর্ব পুরুষের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে এই ‘জাগ্রত বাংলা’ ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবীদের আত্মীয় স্বজনদের আবেদন ছিলো দীর্ঘদিন ধরে। এই উদ্যোগ প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ নিতে পারে।

আমার বাবা মরহুম আবুল বশর চেয়ারম্যান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক ছিলেন। আমি নিজে ও একজন মুক্তিযোদ্ধা। সেই হিসেবে স্বাধীনতার আন্দোলন সংগ্রামের স্মৃতিবিজড়িত স্থান সংরক্ষণ ও জাতির বীরদের স্মৃতি জাগিয়ে রাখার বার্তা দিতেই এ ভাস্কর্য। তিনি আরো বলেন, প্রজন্মকে জানতে হবে, এতো মানুষকে নির্বিচারে নির্যাতন করে মারা হলো, তাদের কী অপরাধ ছিলো ? তাদের অপরাধ তাঁরা ‘স্বাধীনতা’ চেয়েছিলেন।

চেয়ারম্যান আরো জানান, প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জাগ্রত বাংলা’ ভাস্কর্য নির্মিত হচ্ছে। এর নকশা ও পরিকল্পনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভাস্কর ডি কে দাশ মামুন। ১৬ ডিসেম্বর উদ্বোধন করার কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছিয়ে নিতে হয়েছে। আগামী মার্চ মাসে এর উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

ভাস্কর ডি কে দাশ মামুন বলেন, ভাস্কর্যে ছয়টি হাত স্বাধীনতা সংগ্রামের ছয় দফা আন্দোলনকে তুলে ধরেছে। হাতে বিজয়ের পতাকা। এরই পাশে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি স্মারক। যাতে স্টোন কাস্ট পদ্ধতির টেরাকোটা ফরম্যাটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ভাস্কর্যের বেদিতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ২৩ জন বিপ্লবী ও স্বাধীনতার সংগ্রামে শহীদ ১৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ৫৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার রেপ্লিকা (নাম খচিত) তৈরি করা হয়েছে।

এ ভাস্কর্য নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর। ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x