স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় মাল্টিপারপাস ব্যবসায়ী কারাগারে
শহরের কালিবাড়ি সড়কের দেশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় (মাল্টিপিারপাস) সমিতির কর্নধার, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার
ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি মোঃ নজরুল ইসলাম (৪০) কে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে আপোষের শর্তে জামিন নিয়ে স্ত্রীর সাথে আপোষ না করায় গতকাল রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.এইচ.এম ইমরানুর রহমান জামিন বাতিল করে নজরুলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের সাথে ২০০৬ সালে ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি এলাকার রুস্তম আলীর কন্যা পরভীন বেগমের ৫০ হাজারটাকা দেনমহরে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় নজরুল ইসলাম ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতিতে মহরার হিসেবে কাজ করতো।
২০১২ সালে দাখিল পরীক্ষার সনদ জাল প্রমানিত হওয়ায় আইনজীবী সমিতি নজরুলের মহরার কার্ড বাতিল করে মহরার সমিতি থেকে তাকে
বহিস্কার করে। মহররি সমিতি থেকে বহিস্কার হওয়ার পরে নজরুল বরিশালের আঞ্চলিক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতায় নাম লেখায় এবং গত প্রায় ৫/৬ বছর পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তার দালাল হিসেবে
কাজ করে প্রচুর অর্থের মালিক হন। গত দুই তিন বছর যাবৎ নজরুল তার স্ত্রী পারভীনের ওপর যৌতুকের দাবিতে মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
গত ০৪ সেপ্টেম্বর পারভীন বেগম বাদী হয়ে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করায় নজরুলের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করলে আদালত নজরুলের নামে সমন জারি করেন। সমন পেয়ে নজরুল গত ১২ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন ।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ আবুল কালাম আজাদ আপোষের শর্তে ১৫ দিনের অন্তবর্তীকালিন জামিন মঞ্জুর করেন। গতকাল ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বিগত তিনটি তারিখে স্ত্রীর সাথে আপোষ মিমাংশা না কারায় গতকাল রবিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.এইচ.এম ইমরানুর রহমান নজরুলের
জামিন আবেদন বাতিল করে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নজরুল এবং পারভীনের ১২ বছরের একটি মেয়ে এবং আড়াইমাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পরভীনের অভিযোগ তার স্বামী নজরুল ইসলাম তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক বহাল থাকা অবস্থায় অপর এক নারীকে নিয়ে বেআইনিভাবে শহরের আমতলা সড়কের ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে।