জামালপুরের মেষ্টায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও হয়রানীর করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ ছামিউল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২
9.8kভিজিটর

জামালপুরের মেষ্টায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও হয়রানীর করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলার মিথ্যা অভিযোগ তুলে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও ভোক্তভোগী পরিবারকে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভোক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের ভাদুড়ীপাড়া গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভোক্তভোগীদের পরিবারের লোকজন। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী ফরহাদের পিতা আব্দুল জলিল লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩০ আগষ্ট মেষ্টা ইউনিয়নের রহিমপুর এলাকার মৃত তুফাজ্জল হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়ার স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যু হয় এবং পরদিন সকালে মুসলিম নিয়ম মোতাবেক এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে দাফন কাজ শেষ করে পারিবারিক ভাবে কবর দেওয়া হয়।

সেলিম মিয়ার দাফনের পর তার পরিবার বলাবলি করে রাতে সেলিম যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবনের পর স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করেছে। বিষয়টি সম্মানে আঘাত হানে বিধায় কাউকে জানায় নি। যেহেতু নিজেই গোপনে যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবন করেছে, তাই এখানে কারও হাত না থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই কবর দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হবার পর, গত ৪ দিন আগে ওই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে ফরহাদ আলী, চান মিয়ার ছেলে মমিন, আলাউদ্দিনের ছেলে মোজাফ্ফর, সৈয়দ আলীর ছেলে সিদ্দিকুর রহমান ও জামিরাচরের নুরে আলমের নাম উল্লেখ করে ডেকে এনে সেলিম মিয়াকে মেরে ফেলার মিথ্যা অভিযোগ এনে স্থানীয় একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদের সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানী করার জন্য করা হয়। সংবাদ প্রকাশ করা পর্যন্ত উক্ত বিষয় নিয়ে থানায় বা কোর্টে কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা হয় নাই। এলাকায় এ বিষয়ে কোন আলাপ চারিতাও নেই। তাছাড়া এমন কোন বিষয় আগে আমরা কথনও শুনিও নি। হঠাৎ করে এমন সংবাদ কিভাবে সংবাদ দাতা প্রকাশ করলো তা আমাদের জানা নেই। শুধু তাই নয়, সংবাদ প্রকাশের পর হতেই মৃত সেলিম মিয়ার স্ত্রীকে বারবার আমাদের নামে মামলা দায়ের করার জন্য বলছে ওই সংবাদ দাতা। মৃত সেলিম মিয়া আমাদের এলাকারই ছেলে। আমার ছেলেসহ আমরা বেশিরভাগ সময় এক সাথেই চলতাম। কোনদিন তাদের সাথে আমাদের কোন বিষয় নিয়ে কখনও তর্ক বিতর্কও হয় নি। সংবাদ দাতা কোথায় এমন তথ্য পেলেন জানি না।

এ বিষয়ে মৃত সেলিম মিয়ার শশুর সুরুজ মিয়া বলেন, আমার জামাইকে কেউ মেরে ফেলেছে বলে এ পর্যন্ত শুনি নাই। তবে সেদিন কিসের জানি ঔষধ খাইয়া প্রেশার উঠছিলো। আমি আর কিছু জানিনা।

মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবু বলেন, বিষয়টা প্রায় দুই মাস আগের। ওই সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। তবে শুনছি যৌন উত্তেজক ঔষধ খাওয়ার পর স্ট্রোক করে মারা গেছে। তখন এ বিষয়ে কারও কোন অভিযোগ ছিলো না। এতদিনে সন্দেহ করে হয়তো এসব কিছু করতে পারে।

জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করে নি।

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x