বরিশাল কাউনিয়া বালিকা আলিম মডেল মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র বরিশাল -১ কেন্দ্রের হল সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা আমির হোসেন তালুকদার এর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি আদায় সহ নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর নীতিমালা অনুযায়ী দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়। দাখিল পরীক্ষার সাধারণ শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৬০ টাকা ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৪০ টাকা ব্যবহারিক সহ কেন্দ্র ফি নির্ধারণ করেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।
কিন্তু বরিশাল কাউনিয়া বালিকা আলিম মডেল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ অত্র কেন্দ্রের হল সচিব সাধারণ শাখার প্রত্যেক ছাত্রদের থেকে ব্যবহারিক সহ সর্বমোট ৬৫০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার ছাত্রদের থেকে ব্যবহারিক সহ সর্বমোট ৭৫০ টাকা করে কেন্দ্র ফি জোর করে আদায় করেন।
উক্ত কেন্দ্রের অংশগ্রহণকারী মাদ্রাসার প্রধান সহ ছাত্র-ছাত্রীরা আপত্তি জানালে তাতে তিনি কোন কর্ণপাত না করে ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তার মনগড়া কেন্দ্র ফি আদায় করেন।
বরিশাল সোমের্তবান মহিলা মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলাম ও ছাত্রীরা অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি না দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানালে তাদের লিখিত পরীক্ষার শেষ হওয়ার দিন হল থেকে কেন্দ্র সচিব মাওলানা আমির হোসেন তালুকদার এডমিট ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড আটকে রাখেন অতিরিক্ত ফি আদায়ের লক্ষ্যে এবং তিনি আরো জানিয়ে দেন বাড়তি টাকা না দিলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।
সোমের্তবান মাদ্রাসার সুপারসহ অত্র কেন্দ্র অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রধানরা কেন্দ্র সচিবের কাছে অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি আদায়ের টাকা কোন কোন খাতে ব্যয় হয় তাহা জানতে চাইলে কেন্দ্র সচিব বলেন ডিসি অফিস,কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্যাগ অফিসারদের সাম্মানি দিতে হয় বলে জানান।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা
কাউনিয়া বালিকা আলিম মডেল মাদ্রাসার কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মুঠোফোনে কেন্দ্র সচিবের অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে সবাই অতিরিক্ত ফি আদায়ের কথা স্বীকার করেন এবং সবাই একই কথা বলে।
শুধুমাত্র দুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন কেন্দ্র সচিব আমাদের সবাইকে আটকাইয়া মফেল দেন ও উল্টাপাল্টা কথা বলে। এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসার কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার দায়িত্ব ডিসি অফিস থেকে প্রশ্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া এর জন্য যাতায়াত খরচ আমাকে অফিস দিয়ে থাকেন আমি কোন কেন্দ্র থেকে সম্মানী নেইনা। তিনি আরো বলেন এ ব্যাপারে আরো কিছু আপনাদের জানার প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করলে জানতে পারবেন।
মুঠোফোনে বরিশাল ডিসি ও এডিসি শিক্ষা কে ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।
অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি আদায়ের ব্যাপারে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ কামাল উদ্দিন কে ফোন দিলে তিনি বলেন এ ব্যাপারটি আপনার জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট জানান কারণ তিনি জেলার সকল পরীক্ষা কেন্দ্রের সভাপতি এবং স্থানীয় প্রশাসনদেরকেও জানান কেন্দ্র সচিবের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নিতে পারেন অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি আদায় করছে এর সঠিক তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি আদায়ের সম্পর্কে জানার জন্য অত্র কেন্দ্রের সচিব কাউনিয়া বালিকা আলিম মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আমির হোসেন তালুকদার কে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশ না করে অত্রকেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কারী এক প্রতিষ্ঠান প্রধান সাংবাদিকদের কে জানান প্রয়োজনে আমরা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড,বরিশাল জেলা প্রশাসক ও দুদুকে লিখিত অভিযোগ দিব।