নওগাঁর সাপাহারে একটি মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার জয়দেবপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর জয়,দা,মা ৯৯/২০২২ নম্বর স্মারকে ওই মাদরাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক কামরুজ্জামান কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ০১ আগস্ট দ্বিতীয় ঘন্টায় অষ্টম শ্রেণী ক্লাসে বিলম্ব ও চতুর্থ ঘন্টায় সপ্তম শ্রেণী ক্লাসে অনুপস্থিত এবং সুপারিন্টেনডেন্টের সাথে বিতর্কে জড়ানো এবং তাকে দাঁত ভাংগার অভিযোগ এনে কামরুজ্জামান কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। উক্ত কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেন সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান।
ওই নোটিশে এহেন কোন ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে কামরুজ্জামান বলেন আপনি (সুপার) দীর্ঘদিন যাবত আপনার ভাই, ভাতিজা সহ কতক লোকের সহিত যোগসাজসী করিয়া প্রতিষ্ঠান চলাকাকালিন সময় বা যখন তখন মারপিট জীবন নাশের হুমকি ধামকি দেন। প্রতিষ্ঠানে চাকুরী হতে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। যা সম্পূর্ণরুপে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও আক্রোশ মুলক। তিনি নোটিশে আরও বলেন, আমি জয়দেবপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে সহকারী মৌলভী পদে সুনামের সহিত চাকুরী করে আসতেছি।
চাকুরী সময়ে নিয়মিত ও সঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পাঠদান করি। আমি ইতিপূর্বে কিংবা ০১ আগস্ট বা পরে এবং প্রতিষ্ঠানে কারো সাথে কোন প্রকার অসৎ আচরণ করি নাই এবং ভবিষতে ও করবো না। সন্তোষজনক কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিলের পরও তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে জয়দেবপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা সহকারী মৌলভী শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, আমি প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে সহকারী মৌলভী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে আসতেছি।
সম্প্রতি মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেনের সাথে দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সুপারিনটেনডেন্ট আফতাবুদ্দীনের যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন শিক্ষক কামরুজ্জামান।
জয়দেবপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা সুপারিনটেনডেন্ট আফতাবুদ্দীন বলেন, প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ায় অবহেলা করেছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে অসদাচরণ করেছে গালিগালাজ করেছে সেকারনে শিক্ষক কামরুজ্জামান কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জয়দেবপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সার্থে যেখানে যাওয়ার দরকার সেখানে যাবো। মিডিয়ার সামনে কথা বলবোনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবীর বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক কামরুজ্জামান দুজনেই আমার কাছে এসেছিলো। তবে পারিবারিক কন্দোল বা দ্বন্দ যাই থাকুক চাকুরী করতে হলে একটা নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। প্রতিষ্ঠানের নিয়ম নীতির ব্যতয় ঘটায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। হয়তো চিটিপত্র দিয়ে থাকতে পারে কিন্তু আমি এই মাত্র জানলাম।