ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় রুপাপাত ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের (সুতালিয়া) সামনে জড়ো হয়ে সামনে সহস্রাইল হতে কালিনগর মেইন রাস্তায় শত শত লোক লাইনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
ইউপি মেম্বর (খুরশিদুল বারী ৪ নং,আইয়ু আলী মঙ্গল ১নং,মন্জুরুল ইসলাম ২ নং,শামূমা আক্তার চায়না ১,২,৩ নং) ওয়ার্ড ও বক্তারা( আবুল খায়ের মোল্লা,আব্দুল আলী,জুয়েল মিয়া,জাফর)বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন,ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, প্রত্যায়ন, টেক্স রশিদ, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং কার্ড সহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজের ফি’র অতিরিক্ত অর্থ আদায়। ইউনিয়ন বোর্ড অফিসের কার্যক্রম নিজ বাড়িতে পরিচালনা, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের অর্থ লুটপাট দুর্নীতি মাদক ব্যবসা বয়স জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তকরার প্রতিবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।
ইউপি সদস্যরা আরো বলেন,চেয়ারম্যান ক্ষমতা গ্রহনের কিছু দিন পর থেকে আমাদের সাথে কোন প্রকার আলেচনা, সমন্বয় ও মিটিং, না করে তার খেয়াল খুশি মতে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।আমরা অন্যায় অনিয়মের জবাব চাইলে আমাদের সাথে পরিবারসহ গালিগালাজ ও অসদাচরন করে।সালিশে নামে বোর্ড অফিসে একাধিক ব্যক্তিকে মারধর।এর অনিয়মের ধারাবাহিকতায় দৈনিক বাঙালি সময় পত্রিকা ২১ সেপ্টেম্বর “পক্ষপাতের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা বোয়ালমারীর ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ” শিরোনাম একাধিক পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।ভূক্তভূগি নেয়ামুল হোসেন বলেন,আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধনে ৫০০ টাকা নিয়েছে আট মাস হয়েছে এখনও জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেয় নাই। চেয়ারম্যান বিভিন্ন অজুহাতে আমার ছেলের কার্ড দেয় না।
আমার অপরাধ ইউনিয়ন যুবলীগের পদ আছি।ইউনিয়ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোনা মিয়ার বিরোধিতা করেছিলাম।নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছিলাম ও ভোট দিয়েছি।একাধিক ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের আগে রেশন কার্ড ছিল।এই চেয়ারম্যান এসে নাম কেটে দিয়েছে। চেয়ারম্যানের কাছে গেলে গোপনীয়ভাবে টাকা চায়। আমাদের টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নাই বলে জানাই, উত্তরে বলে টাকা দিলে রেশন কার্ড হবেন না দিলে হবে না।এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের মুঠোফোনে বলেন,সব অভিযোগ মিথ্যা,সরকারি টাকা নেয় উদ্যোগতা আমি টাকা ধরি না।
মেম্বারদের ইচ্ছা মতে কাজ করলে আমি ভাল হতাম।আমার বিরুদ্ধে যারা অপবাদ দিয়েছে এটা তাদের পরিকল্পিত সাজানো নাটক। আপনারা রুপাপাত বাজারে আমার অফিসে আসেন বিস্তারিত বক্তব্য দিবো।