লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুলকে বদলী করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।
১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মোঃ কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কালীগঞ্জ থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক এটিএম গোলাম রসুলকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এপিবিএন-এ যোগদানের নিমিত্তে ছাড়পত্র গ্রহণ করবেন। অন্যথায় ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখ হতে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন কিন্তু এ আদেশকে অমান্য করে তিনি তার বদলী ঠেকাতে মারিয়া হযে উঠেছেন।
তার এ বদলীর খবরে স্বস্তি পেয়েছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই উপজেলার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবিদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে ওসি গোলাম রসুলের এবং উপজেলার বিভিন্ন স্পটে প্রতি মাসে জুয়ার আসর থেকে মাসোহারাও নেন এই ওসি।
স্থানীয়রা জানায়, সাধারণ মানুষের ফোন রিসিভ করেন না ওসি। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ নয় বরং অপরাধীদের বুকে আগলে রাখাই ওসি গোলাম রসুলের একমাত্র কাজ।তিনি থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত রংপুর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মোটরসাইকেলে মাদকসেবীরা কালীগঞ্জের,চন্দ্রপুর,কালভৈরব,বলাইরপাট,পাটিকাপাড়া,গোড়লচৌপুতি,বুড়িরহাটসহ বিভিন্ন স্পটে আসলেও তা নিয়ন্ত্রণে এ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেননি ওসি।
তিনি কালীগঞ্জে যোগদানের পর ন্যায় অন্যায় বুঝতে চাইতেন না। পছন্দে ধরপাকর করতেন এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেন। মামলা করতে গেলে তিনি নিজের মনমতো হলে মামলা নিতেন। টাকা ছাড়া কোন মামলা রেকর্ড করতেন না তিনি।
ওসির এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এক পর্যায়ে ওসি এটিএম গোলাম রসুলের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়।
ছাত্রলীগ কর্মী মিজানুর রহমান বলেন, থানায় ডেকে নিয়ে ওসি গোলাম রসুল আমাকে নির্যাতন করেছে। তার বদলীর খবর শুনে আমার অনেক ভালো লাগছে। এমন অফিসারদের কারণেই পুলিশে সুনাম নষ্ট হয়। আমি চাই কালীগঞ্জ থানায় একজন জনবান্ধব ওসি আসুক। যাতে করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সুনাম থাকে এবং সাধারণ মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পায়।
এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুলের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।