গত ১১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সাগরে লঘু চাপের ফলে সারাদিনের ন্যায় নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে ভারি বর্ষণ হয়েছে। তারি ফলে আজ নওগাঁর বিভিন্ন নিম্নস্থান প্লাবিত হয়েছে। সরেজমিনে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের বেনীপুর, কার্ত্তিকপূর, জয়পুর সহ পার্শবর্তী উপজেলা পোরশার আংশিক কিছু গ্রাম পানি বন্দী হয়েছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে যোগাযোগে রাস্তা, আমন ধানের ক্ষেত, মাছ চাষের পুকুর সহ নানান জাতের সবজির ক্ষেত।ভারি এই বর্ষণে বেনীপুরের পার্শবর্তী খালের পানি প্রায় ৪ ফিট বৃদ্ধি পেয়েছে, এতে করে পারশবর্তী গ্রাম গুলোতে যাতায়ত সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়েছে। রাস্তা উপরে প্রায় ৩ ফিট পানি। এতে করে নিম্নস্থলের আমন ধানের ক্ষেত সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে আরো ২৪ ঘন্টা ভারি বর্ষণ হতে পারে জেলায় ।
এতে করে দূরভোগ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । অনেকে বলেছেন ১৯৯৫ সালের পরে এই প্রথম তারা এতো বড় বন্যা দেখেছেন। অনেকে আবার দোষারোপ করতেছেন যে এই খালটি দীর্ঘ ১০/১২ বছর খনণ করা হইনি। পলি জমে জমে অবস্থা খুব খারাপ । একটু পানি হলেই তলিয়ে জায় কৃষি ক্ষেত, মাছের পুকুর সহ বিভিন্ন বাগান। আবার পানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে বাঁধ । তাও অনেক দিন ধরে সংস্করণ না করাই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়েছে বহু আগেই।
এছাড়া বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমন চাষ ও সবজির বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে সার্বিকভাবে খাদ্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফসলি জমি ছাড়াও মাছ ও গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটাও বেশ বড় হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।