গংগাচড়া সরকারি কলেজ এ জাল সনদধারী শিক্ষক।

রিয়াদুন্নবী রিয়াদ প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
5.2kভিজিটর

রংপুরে গংগাচড়া উপজেলায় একটি মাত্র সরকারি কলেজ । সেই গংগাচড়া সরকারি কলেজ এর শিক্ষক জাল সনদধারী নিবন্ধন সার্টিফিকেট ব্যবহার করে শিক্ষকতা করে আসতেছেন।
সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরিরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ধারাবাহিকতায় শুদ্ধি শিক্ষা অভিযানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর ( ডিআইএ ) রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের জাল সনদধারী শিক্ষকদের প্রথম পর্বের তালিকা প্রকাশ করে গত সোমবার । নিয়ম অনুযায়ী , শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতিসহ কোষাগার থেকে প্রাপ্ত টাকা ফেরত দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ।
জাল সনদধারী শিক্ষকদের প্রথম পর্বের তালিকা ৮জনের নাম প্রকাশ হয়।গংগাচড়া সরকারি কলেজ জাল সনদধারীর নাম আসে না।

গংগাচড়া সরকারি কলেজ এমপিওভুক্ত নন বাংলা বিভাগের প্রভাষক শান্তনা রানী রায়।শান্তনা রানী রায় যে নিবন্ধন সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষকতা করেছেন সে সার্টিফিকেট নাম: শান্তনা রানী রায় ও রোল নাম্বার হলো ৪০১০৪১১৯ এবং রেজিঃ নং, ১০০০০৩৬১৪১ । NTRCA merit list এ রোল নম্বর ও রেজিঃ নং দিয়ে সার্চ দিলে নাম আসে সুতাপা মজুমদার। অর্থাৎ অন্যর সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি করতেছেন।
আর একজন হিসাব বিজ্ঞান এর শিক্ষক জিনহাজুল ইসলাম খান ,NTRCA merit listএর রোল নম্বর:১২১৩০৭৬৪ অনলাইন আসলে ও নামের জায়গায় নাম আসে না। তার মানে তিনি এখন ও NTRCA site data collection এর আবেদন ফরম পূরণ করে নাই।
গঙ্গাচড়ায় আটজন জাল সনদধারী শিক্ষক রয়েছেন । তাঁদের মধ্যে দুজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত । তাঁরা হলেন বড়বিল দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সমাজ বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা হোসেন সুলতানা , হাজী দেলওয়ার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মনজয় কুমার রায় । গঙ্গাচড়ার জাল সনদধারী বাকি ছয়জন এমপিওভুক্ত নন । তাঁরা হলেন পাকুড়িয়া শরীফ কলেজের দর্শনের প্রভাষক রেজাউল করিম , ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ , ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক আব্দুল বাতেন , গঙ্গাচড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিষয়ের প্রভাষক সুলতানা আফরোজা , ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক খালেকুর রহমান , গজঘন্টা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক নারায়ণ কুমার রায় । এসব জাল সনদধারী কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনে কল করা হলে কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি । এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা গঙ্গাচড়া উপজেলা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , ‘ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি । এখনো অফিশিয়াল কোনো চিঠি পাইনি । চিঠি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ‘

গংগাচড়া সরকারি কলেজ এর প্রিন্সিপাল মহেন্দ্র নাথ বলেছেন, তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ এরশাদ উদ্দিন পিএএ বলেছেন, আমার প্রিন্সিপাল এর সাথে কথা হয়েছে। যদি জাল সনদধারী কেউ থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x