নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের করমজাই গ্রামে প্রায় ১০ বিঘা পুকুরে ২৪ ঘন্টা ব্যাপি মস্যৎশিকার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবছরই এই দিঘীতে টিকিট কেটে মাছ শিকার করতে আসেন দেশের বিভিন্ন এলাকার মাছ শিকারিরা। তাদের জন্য দিঘীর পারে বানানো হয়েছে মাচা।
এবার এই মাছ ধরা উৎসব হয়েছে গত শুক্রবার বিকেল ৪ টা থেকে শনিবার পর্যন্ত। মাছ ধরতে শুক্রবার রাত থেকে দিঘীর পারে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়ে রেখেছিলেন মাছ শিকারিরা। কেউ কেউ সেখানেই মাছ রান্না করে ছোটোখাটো পিকনিকও সেরে নিয়েছেন।
এবার দিঘির পারে মাছ শিকারের জন্য রাখা ছিল ১৬ টি মাচা। প্রতিটি মাচা ১০ হাজার ৫০০ টাকা টিকিটে বিক্রি করা হয়েছে। মাছ ধরতে সেখানে গিয়েছেন রাজশাহী , সহ আন্তঃজেলার শৌখিন মাছ শিকারিরা।
তবে এবার মাছ কম পাওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছেন তারা।
নওগাঁ থেকে আসা মাছ শিকারি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ পুকুরে এবার তাদের মাছগুলো আকারে ছোট। ২০০ থেকে ৬০০ বা ৭০০ গ্রাম ওজনের মাছ বেশি। বড় মাছের দেখাই মেলে না।’
আমরা যখন টিকিট কিনি তারা আমাদের বলেছিল যে ২ থেকে ৩ কেজি ওজনের মাছ আছে। কিন্তু তা তো আমরা একটাও দেখলাম না কারও বড়শিতে উঠতে।’
, ‘মাছ শিকার করতে ভালো লাগে। তাই শখের বশে যেখানে মাছ শিকারের খবর পাই সেখানেই যাওয়ার চেষ্টা করি। অনেক পুকুরে মাছ শিকারের অভিজ্ঞতা আছে।
‘তবে এখানে মাছগুলো আকারে ছোট। আধা কেজি থেকে এক কেজির মাছই বেশি ধরা পড়ছে। আমরা ৯ জন এসেছি। ১০ হাজার ৫০০ টাকায় মাচা কিনেছি। নিজেদের খাবার, মাছের খাবার, মাইক্রো ভাড়া সব মিলিয়ে আমার ২৫/ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। অথচ অর্ধেক টাকাও উঠবে না।’
উক্ত পুকুরের কতৃপক্ষের কাছে বিষয় টি জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা বছরে ১ দিন মাছ ধরার প্রতিযোগিতা করে থাকি, যাতে করে সবাই মাছ শিকার করতে পারে, আনন্দ করতে পারে এবং লাভ ও করতে পারে।
কিন্তু পরবর্তীতে মাছ কম হওয়ায় মাছ শিকারিদের চাপে সময় শেষ হওয়ার ৬ ঘন্টার মাথায় মাছ শিকার কাযক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই সময় প্রতিটি টিকিতে ৬ হাজার টাকা করে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।