টাকা দিলে বৈধ,না দিলে অবৈধ থানার ওসি!
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বালু ব্যবসায়ী ও টলি মালিক সমিতির মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে পৌর সদর বাজার চৌরাস্তা আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদুজ্জামান ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে এ মানব বন্ধন করেন। নির্বাহী অফিসার বিনা নোটিশে ভেকু ভাংচুর ও থানা অফিসার ইনচার্জ অবৈধভাবে মাসোহারা আদায় ও বালু ব্যবসা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন এর আয়োজন করেন টলি মালিক সমিতি ও বালু ব্যবসায়ীরা।
টলি মালিক সমিতির সভাপতি দাউদ হোসেন শামিম,আনোয়ার হোসেন বক্তব্যে বলেন,থানার ওসি ওয়াহিদুজ্জামান যোগদান করার পর থেকে সূ- কৌশলে টলি চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয়।তারপর তাকে মাসোহারা দিলে টলি চলবে বলে প্রস্তাব দেয়।প্রথম দিকে ৩০ হাজার পরে ৫০ হাজার বর্তমানে ৮০ হাজার টাকা মাসে মাসোহারা দিতে হয়। মাসোহারা দিয়ার পরেও রাস্তা ঘাটে টলি পেলে তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে ব্যাটারী,যন্ত্রপাতি টুল বক্সখুলে নিয়ে আসে।তাতে আবার সালামী বাবদ গুনতে হয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।আমরা টলি মালিকের কাছ থেকে প্রতি মাসিক ১ হাজার টাকা থানায় দেওয়ার জন্য টাকা তুলি।তাতেও আমরা শান্তিতে গাড়ি চালাতে পারি না।তাহলে মাসিক মাসোহারা দেবো কেন।এই দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর ওসি টাকা ছাড়া কোন কিছু বোঝেনা।
নিরীহ টলি ড্রাইভার ও বালু ব্যাবসায়ীদের ধরে নিয়ে মামলায় চালান দেবে বলে ভয়ভীতি দিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করে।তার পরে ও তাকে৫১,৫৪ ধারায় ফরিদপুর কোর্টে চালান দেয়।প্রশাসনের প্রয়োজনে টলি ব্যবহার করলে টলি বৈধ আর না করলে অবৈধ। বর্তমানের আরো বেশি টাকা দিতে হবে বলে দাবী করে। অন্য কোন ওসিরা টলির কাছ থেকে টাকা নেয়নি।কিন্তু ওনি( ওয়াহিদুজ্জামান) টাকা ছাড়া টলি চলতে দেয় না।এই ঘুষখোর দূর্নীতিবাজ
ওসিকে দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি বলে জানান। নিরীহ টলি চালক, মালিক ও বালু ব্যবসায়িরা ঐ ওসি হাত থেকে বাঁচতে চায়।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন,উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে টলি বন্ধের কথা হয়েছে,তাই বন্ধ করেছি।দাউদ বালু মহল ও টলির মালিকের কাছ থেকে পুলিশের নাম করে মাসিক চাঁদা তুলে।ঐ টাকা আমাকে দিবে বলে বেড়ায়।
আমি টলির টাকা খায় না। আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক মধুমতি রক্ষা বাদের ভরাট কৃত জায়গায় অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে বালু ফেলে ব্যবসা করায় এবং ভেকু দিয়ে বালু কাটার সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভেকুটি অকেজো করে দেওয