শিরোনাম:
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে গংগাচড়া শ্রেষ্ঠ পদক প্রাপ্ত ইউএনও’র নানা উদ্যোগ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবাধে তৈরি হচ্ছে অবৈধ অটোরিকশানিজস্ব প্রতিবেদক: পুর্বাচল উপশহরে বিদ্যুৎ সংযোগে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা, আতঙ্কে এলাকাবাসী। ইঞ্জিনিয়ার ড. শফিউদ্দীন আহমেদ স্কুল এন্ড কলেজে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি। নিয়ামতপুরে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি পালন। ঝালকাঠিতে অচেতন অবস্থায় কলেজ ছাত্র উদ্ধার। রাজাপুরে কর্দমাক্ত কাচা রাস্তা পাকা করণের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ৪২ লক্ষ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যে ফেঁসে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক-(পর্ব ১) গংগাচড়ায় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলা ও সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন সম্মেলনের সমাপনী ঝালকাঠিতে হত্যার উদ্দেশ্যে যুবককে কুপিয়ে আহত গ্রেফতার-১

পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মের আবরণে নোংরামি দেখে আমি হতাশ – ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
6.2kভিজিটর

‘পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মের আবরণে নোংরামি দেখে আমি হতাশ, ব্যথিত, ক্ষুব্ধ’
আর প্রায় একমাস পর বাঙালী হিন্দুর সর্ববৃহৎ সর্বজনীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। পূজা উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু হয়েছে।
তবে পূজাকে উপলক্ষ্য করে অনেক মণ্ডপেই যে কুরুচিপূর্ণ গান-বাজনা ও উচ্ছৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায় সেসব নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল দেবদাস ভট্টাচার্য।

ধর্মের আবরণে এসব নোংরামি দেখে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। সেসঙ্গে বাংলাদেশের সকল পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি কয়েকটি সুপারিশ ঘোষণা করেছেন তিনি।
সামাজিকমাধ্যমে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য স্যার নিচের নির্দেশনাগুলো প্রদান করেছেন-

১। আরতির নামে ডিজে, কুরুচিপূর্ণ গান সহ সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
২। প্রতি সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে ধর্মীয় আলোচনা এবং ধর্মীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের আয়োজন করা যেতে পারে। এজন্য প্রতিদিন এক বা দুইজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে আলোচনার জন্য নির্বাচিত করা যেতে পারে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা হলে দর্শক সমাগম বজায় থাকবে এবং সকলে উপভোগ করবেন।
৩। ধর্মীয় বিষয়ের উপর শিশু, কিশোর, তরুণদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার প্রদানের আয়োজন করা যেতে পারে।
৪। সমবেত চণ্ডীপাঠ বা সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা যেতে পারে।
৫। প্রতিদিন সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে এবং সঠিক নিয়মে অঞ্জলির পরিকল্পনা এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। আলোকসজ্জা বা অন্যান্য খরচ কমিয়ে বাজেটের একটি অংশ দিয়ে পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অসহায় গরীব পরিবারকে সাহায্য করা উচিত।
৭। প্রতিমা নির্মাণ সহ পূজার সমস্ত প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বিধান মেনে সাত্ত্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

“পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মীয় বোধের যে অবক্ষয় চোখে পড়ে, তাতে আমি হতাশ, ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ। ধর্মের আবরণে এসব নোংরামির ফলে যুব সমাজ বিভ্রান্ত হচ্ছে, পথভ্রষ্ট হচ্ছে।”

“ধর্মকে গ্লানিমুক্ত করে গৌরবময় করতে সবাইকে এক লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”
দেবদাস ভট্টাচার্য স্যার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ পুলিশ, ময়মনসিংহ রেঞ্জ।

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x