নওগাঁর জেলার পোরশা ও সাপাহার উপজেলার শেষ সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত পূর্ণভবা নদীর বাম তীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ হতে যাচ্ছে দৃষ্টি নন্দন আম্রকানন। ইতো মধ্যে বাঁধে আম,আতা,লেবু ও মেহগনি গাছের চারা রোপন কর্মসুচীর ৮০ভাগ সমাপ্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতর্বষ উদযাপন উপলক্ষ্যে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
গত ২৩ আগষ্ট বাংলাদশে পানি উন্নয়ন র্বোড এর প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম জেলার পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল পয়েন্ট হতে সাপাহার উপজেলার হাঁপানিয়া রেগুলেটর হয়ে কলমুডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আমের চারা রোপন করে ওই বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
এ সময় সেখানে বাংলাাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবোধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম,নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুজ্জামান খান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, প্রবীর কুমার পাল ও মোঃ ওসমান ফারুক সহ বাপাউবোর সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে সীমান্ত ঘেঁষা পূর্ণভবা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের দু’পাশের ঢালুতে তিন সারি করে বারী-৪ ও আম্রোপালী আম গাছের চারা,আতাফল,লেবু ও মেহগনি সহ বিভিন্ন ফলদ,বনজ ও ঔষধি গাছের প্রায় ১০ হাজার চারা রোপন করা হবে।
ইতো মধ্যে ওই বাঁধে বাস্তবায়িত বৃক্ষ রোপন কর্মসুচীর প্রায় ৮০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে শতভাগ বৃক্ষ রোপন সম্পুর্ন হবে বলে বাপাউবোর কর্তৃপক্ষ আশা করেছেন। পূর্ণভবা নদীর বাম তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে রোপন কৃত ফলদ ও বনজ গাছ গুলো সফল ভাবে রক্ষণাবেক্ষন করা হলে অদুর ভবিষ্যতে এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের পাশাপাশি এটি একটি দৃষ্টিনন্দন এলাকা হিসেবে সবার নিকট পরিচিত হবে।