রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার ২নং হারাগাছ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সিট নাজির দহ (পুর্ব নাম ) পল্লীমারী গ্রামে এক ছেলে তার মাকে খুন করেছে। গত ১৯-৮-২২ ইং রোজ শুক্রবার রাত ১টা থেকে জমিলা বেগম নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলো।
স্হানীয় সূত্র জানা যায়,শুক্রবার রাত ১টা থেকে জমিলা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন থেকে জামিলা বেগমকে তার আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেছিল, কিন্তু তার ছেলে জামিল কোন খোঁজাখুঁজি করেনি। কাউকে কোন কিছু বলেনি।
আজ বুধবার তার আত্মীয়-স্বজন তার বাসায় ভিতরে গিলে দেখে বাসার মেঝে নতুন মাটি , বোঝা যাচ্ছিল যে এখানে গর্ত করা হয়েছিল তখন তারা মাটি খুঁড়ে জামিলা বেগম লাশ দেখতে পায়। তখন তার ছেলে জামিলকে ধরলে, সে বলে শুক্রবার রাতে ১টার সময় তার মাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঘরের মেঝেতে পুতিয়ে রেখেছে। তখন স্থানীয়রা তাকে বেঁধে রেখে ট্রিপল নাইনে কল করে পুলিশকে আহবান করে শেষে পুলিশ এসে জামিল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
থানা সূত্রে জানা যায,কাউনিয়া থানার এ এস আই মাসুদ রানা ও হারাগাছ ইউনিয়ন দফাদার মন্জিল মিয়া সহ থানার আরো ফোর্স কিছুক্ষণ পুর্বে লাশ উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে খুন হয়েছে। নিজ পুত্রের হাতে তার জন্মধারিনী মা জমিলা বেগম।ঘাতক ছেলের নাম জামিল মিয়া সে ঐ এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।